এ যেন এশিয়া কাপের মতো। তুলনামূলক ভালো হলেও লজ্জার রেকর্ড আটকাতে পারল না শ্রীলঙ্কা। এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে মাত্র ৫০ রানেই অলআউট হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ভারতীয় দলের পেসার মহম্মদ সিরাজ বিধ্বংসী বোলিং করেছিলেন সেই ম্যাচে। আধডজন উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ভারতের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপেও এমন কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা। ভারতের বিরুদ্ধেই ৩৫৮ রান তাড়ায় শ্রীলঙ্কা মাত্র ৫৫ রানে অলআউট হয়েছিল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাত্র ৭৭ রানেই গুটিয়ে গেল শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
এ বারই প্রথম বিশ্বকাপ হচ্ছে মার্কিন মুলুকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যুগ্ম আয়োজক আমেরিকা। ডালাসে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিল তারা। এ বার নিউ ইয়র্ক পর্ব। নবনির্মিত নাসাউ স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচ। এই মাঠেই ভারত-আয়ারল্যান্ড এবং ভারত-পাকিস্তানের মতো হাইভোল্টেজ ম্যাচ রয়েছে। ড্রপ ইন পিচ। নিউ ইয়র্কে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। দু-দলই এ বারের বিশ্বকাপে অভিযান শুরু করছে। শুরুতেই প্রবল চাপে শ্রীলঙ্কা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বনিম্ন স্কোরের রেকর্ড নেদারল্যান্ডসের দখলে। ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মাত্র ৩৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। সেই শ্রীলঙ্কাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বনিম্ন স্কোরের লজ্জার রেকর্ড গড়ল। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা।
দলীয় ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ৩১ রানে দ্বিতীয় উইকেট। এরপরই বিপর্যয়। ৩২ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হয়ে যায়। এশিয়া কাপের মতো ৫০ রানেই অলআউট হয়ে যাবে কিনা, এমন আশঙ্কাও তৈরি হয়েছিল। সেই আশঙ্কা মিটলেও মাত্র ৭৭ রানেই অলআউট শ্রীলঙ্কা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ৮৭। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৮৭ রানে অলআউট হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। চব্বিশের বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৭৭ রানেই শেষ।
দক্ষিণ আফ্রিকা বোলারদের মধ্যে ৪ উইকেট নেন অনরিখ নর্টজে। এ ছাড়াও দুটি করে উইকেট নেন কাগিসো রাবাডা এবং কেশব মহারাজ। ১ উইকেট বার্টম্যানের ঝুলিতে। শ্রীলঙ্কা ইনিংসে সর্বাধিক ১৯ রান কুশল মেন্ডিসের।