কীর্তি আজাদ। নামটা বলতে প্রথমেই যেটা মনে পড়বে ১৯৮৩। ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসের মুহূর্ত। আন্ডারডগ থেকে রাজা হয়ে ওঠার গল্প। একটা সময় বিশ্ব ক্রিকেটে দাপট ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এমনকি ক্রিকেটের আঁতুরঘর ইংল্যান্ডও তাদের সঙ্গে পেরে উঠছিল না। ১৯৭৫ সালে উদ্বোধনী ওয়ান ডে বিশ্বকাপে জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরের বিশ্বকাপও। ক্লাইভ লয়েডের নেতৃত্বাধীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ব মঞ্চে হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে ছিল। কিন্তু সেটা আর হতে দেননি ভারতীয় দলের আন্ডারডগ ক্রিকেটাররাই। কপিল দেবের নেতৃত্বে অভাবনীয় কীর্তি গড়েছিল ভারত।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্ববন্দিত পেস বোলিং লাইন আপ। তেমনই ব্যাটিং। ভিভ রিচার্ডসের মতো বিধ্বংসী ব্যাটার। অন্য কোনও দলই তাদের সঙ্গে পাল্লা দেবে, এই প্রত্যাশাই যেন ছিল না। ভারতীয় দলকে নিয়ে একেবারেই প্রত্যাশা ছিল না। ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিজেদের উপর প্রত্যাশা ছিল। সবচেয়ে বড় বিষয় যেন এটাই। আত্মবিশ্বাস। নিজের উপর ভরসা থাকলে অনেকটা এগনো যায়। ভারতীয় দলের প্রতিটা প্লেয়ার সেই ভরসা দেখিয়েছিলেন। সে কারণেই লর্ডসের ব্যালকনিতে বিশ্বকাপ ট্রফি নেওয়া কপিল দেবের সেই আইকনিক ছবি দেখা গিয়েছিল।
বিশ্বকাপ, ক্রিকেটের ময়দান হোক বা রাজনীতি। বরাবরই যেন কীর্তি গড়া পছন্দ কীর্তি আজাদের। জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামা। এর আগে বিজেপির সাংসদ ছিলেন। এ বার বাংলায় রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থী করে তৃণমূল। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। স্বাভাবিক ভাবেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ময়দান। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিজেপির প্রার্থীর থেকে প্রায় ১ লক্ষ ১৬ হাজার ভোটে এগিয়ে কীর্তি আজাদ।