পেশায় সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। ওরাকলের মতো বড় সংস্থায় চাকরি করেন। এরপরও ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যাওয়া। তাও আবার পেশাদার ক্রিকেট। জাতীয় দলের হয়ে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা দু-ম্যাচ জিতেছে আমেরিকা। দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়েছে তারা। প্রথম বার বিশ্বকাপ খেলতে নেমেই প্রাক্তন চ্যাম্পিয়নদের হারানো, হেলাফেলার বিষয় নয়। আর আমেরিকার এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সৌরভ নেত্রভালকর। মার্কিন ক্রিকেটের নতুন নায়ক সংবাদসংস্থা পিটিআইকে একটি সাক্ষাৎকারে নানা কথাই বলেছেন।
প্রথম বার বিশ্বকাপ খেলছে আমেরিকা। সৌরভ অবশ্য অনূর্ধ্ব ১৯ স্তরে বিশ্বকাপ খেলার স্বাদ পেয়েছেন। তবে সেটা ভারতের হয়ে। পরবর্তীতে আমেরিকা পাড়ি দেন। বড় সংস্থায় চাকরি করলেও খেলার প্রতি প্যাশন আটকে রাখতে পারেননি। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে কানাডাকে হারিয়েছে আমেরিকা। গত ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে টানা দুটি জয়। পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে জয়ের আনন্দে ভাসতে নারাজ সৌরভ।
সাক্ষাৎকারে সৌরভ বলেন, ‘এটা জাস্ট একটা ম্যাচ। আমরা ভালো খেলেছি, এটুকুই। আমাদের ফোকাস পরবর্তী ম্যাচে। সত্যি বলতে আমরা আমেরিকা টিম হিসেবে সাফল্য পেতে চাইছি। কতটা সাফল্য জানি না। ম্যাচ ধরে এগোতে চাই।’ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কি বাড়তি তাগিদ কাজ করেছিল? সৌরভের কথায়, ‘সেটা তো এমনিতেই হয়। সত্যি বলতে, পাকিস্তান ম্যাচটায় কী করেছি, কী ভাবে হয়েছে, এখনও বিশ্বাস করে উঠতে পারিনি।’
পড়াশোনার সঙ্গে যেমন ক্রিকেট চালিয়ে গিয়েছেন। তেমনই চাকরির পাশাপাশি ক্রিকেটেও একই ফোকাস ধরে রেখেছেন। কী ভাবে সম্ভব! এর জন্য যেমন টিম ম্যানেজমেন্টকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন, ভুলছেন না অফিসের বসদের কথাও। সৌরভ বলছেন, ‘অফিসে বসদের কাছ থেকে এতটা সমর্থন পাই, আমার কাজটা সহজ হয়ে যায়। যখন টিমের সঙ্গে বাইরে যাই, সেখান থেকেও কাজ করার অনুমতি থাকে। ম্যাচের দিন আমাকে অফিসের কোনও কাজ করতে হয় না। কিছু প্রোজেক্ট আগে থেকে ঠিক করা থাকে। মিটিং থাকে, যেখানে হয়তো আমার থাকাটা খুবই জরুরি। সেই মিটিংয়ে থাকি এরপর সূচি অনুযায়ী প্র্যাক্টিসও করি। আমাদের ক্রিকেট বোর্ডও বিষয়টা খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখে। মিটিংয়ের সময়ের বাইরে প্র্যাক্টিস শিডিউল ঠিক করা হয়।’