উইকেটে শুরু, উইকেটে শেষ। প্রথম ওভারেই অর্শদীপের জোড়া ধাক্কা। চোটের জন্য ভারতের বিরুদ্ধে নেই আমেরিকার ক্যাপ্টেন মনাঙ্ক প্যাটেল। তাঁর পরিবর্তে খেলেন শায়ন জাহাঙ্গির। প্রথম ডেলিভারিতেই ভেতরে ঢোকা বলে লেগ বিফোর এই ওপেনার। প্রথম ওভারের শেষ বলে আদ্রিয়েস গউসকে শর্টপিচের ফাঁদে ফেলেন অর্শদীপ। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত। তা পুরোপুরি সঠিক প্রমাণ করেন বোলাররা। অর্শদীপ উইকেট নেন, সিরাজ রান আটকানোর চেষ্টা করেন। শেষ অবধি লক্ষ্যে অনেকটাই সফল ভারতীয় বোলিং বিভাগ। ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন অর্শদীপ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১১০ রান করে আমেরিকা।
আমেরিকার ইনিংস মেরামতির চেষ্টা করেন ক্যাপ্টেন্সি করা অ্যারন জোন্স ও আর এক ওপেনার স্টিভেন টেলর। অপেক্ষা ছিল বুমরার বোলিংয়ের। পঞ্চম ওভারে তাঁকে আনা হয়। মাত্র ১ রান দেন। হার্দিকও প্রথম ওভারে দেন ১ রান। পাওয়ার প্লে-তে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৮ রান করে আমেরিকা। নিউ ইয়র্কের পিচ এমনই। উইকেট হাতে থাকলে পরের দিকে বড় স্কোরের সুযোগ থাকে। যদিও পাওয়ার প্লে-শেষেই হার্দিকের শর্টপিচে ফেরেন ক্যাপ্টেন অ্যারন জোন্স।
দশম ওভারে স্পিনার অক্ষর প্যাটেল আক্রমণে। ইনিংসের মাঝপথে আমেরিকার স্কোর ছিল ৪২-৩। ভারতের কাছে ক্রমশ চিন্তারই হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পিচে ১২০ প্লাস স্কোর হলে চাপ বাড়তে বাধ্য। ব্রেক থ্রু দেন অক্ষরই। প্লেড অন হন টেলর। মিডল ওভারে ভারতীয় পেসারদের মাস্টারস্ট্রোক শর্টপিচ ডেলিভারি। এর মধ্যে আমেরিকার ব্যাটারদের বিরুদ্ধে নজর কাড়েন নীতীশ কুমার। সর্বাধিক ২৭ রান তাঁরই। তবে ১১১ রানের টার্গেটও সহজ বলা যায় না। এই পিচে ১১৯ রান ডিফেন্ড করেছে ভারত। ১১৩ রান ডিফেন্ড করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আমেরিকার বোলিংও হেলাফেলার নয়।