এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেয়েছে পাকিস্তান। আগের রাতে কানাডাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে। মাত্র ১০৭ রানের টার্গেট ছিল পাকিস্তানের সামনে। ১৪ ওভারের মধ্যে এই রান তাড়া করতে পারলে নেট রান রেটে আমেরিকাকে ছাপিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। যদিও পাকিস্তান সেটা পারেনি। ১৭.৩ ওভারে রান তাড়ায় সফল হয়েছে পাকিস্তান। তিনটি উইকেটও হারিয়েছে। ফলে আমেরিকার সঙ্গে নেট রান রেটের দূরত্ব অনেকটাই রয়ে গিয়েছে। কানাডার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন কিপার ব্যাটার মহম্মদ রিজওয়ান। ৫৩ বলে ৫৩ রানের অপরাজিত ইনিংস পাকিস্তানের এই ওপেনারের।
নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হাফসেঞ্চুরিতে রেকর্ডও গড়লেন পাক ওপেনার রিজওয়ান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ওপেনার হিসেবে সবচেয়ে বেশি হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড ছুঁলেন। যা এতদিন ছিল ভারতের ক্যাপ্টেন তথা ওপেনার রোহিত শর্মার দখলে। যদিও আজ ভারতের ম্যাচ রয়েছে। আমেরিকার বিরুদ্ধে রোহিত হাফসেঞ্চুরি করলে একক ভাবে ফের রেকর্ড তাঁর দখলেই ফিরবে।
পাকিস্তানের ওপেনার রিজওয়ান করেছেন ৩০টি হাফসেঞ্চুরি। রোহিতেরও দেশের জার্সিতে টি-টোয়েন্টিতে ৩০টি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে। তবে রোহিত ১১৮ ইনিংসে ৩০টি হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। পাকিস্তানের ওপেনার নিয়েছেন মাত্র ৭১ ইনিংস। রোহিতের রেকর্ড ছোঁয়ার দিনে অবশ্য বিশ্বকাপের মঞ্চে লজ্জার নজিরও গড়েছেন। কানাডার বিরুদ্ধে হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছতে রিজওয়ানের লেগেছে ৫২টি ডেলিভারি। বিশ্বকাপের মঞ্চে মন্থরতম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড। এত দিন যা ডেভিড মিলারের দখলে ছিল। এ বারের বিশ্বকাপেই নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ৫০ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন মিলার।