বিশ্ব টেনিসে অন্যতম ঐতিহ্যশালী টুর্নামেন্ট উইম্বলডন। আর সেই টুর্নামেন্টে থাকছে বাংলার বড় দায়িত্ব। এমনটা প্রথম নয় যদিও। এ বার থাকছেন শ্রীরামপুরের দুই যুবক। লন্ডনে উইম্বলডনের ম্যাচ খেলাবেন নাংলার দুই। আগামী ২০ তারিখ তাঁরা রওনা হচ্ছেন লন্ডনের উদ্দেশ্যে। সেখানে লাইন আম্পায়ার হিসেবে খেলা পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন হুগলির শ্রীরামপুরের সৈকত রায় ও সোমনাথ মান্না।
টেনিস অনুরাগীদের কাছে এই গ্র্যান্ড স্লাম ইভেন্ট খুবই জনপ্রিয়। তারকা প্লেয়াররাও মুখিয়ে থাকেন এই টুর্নামেন্টে নামার জন্য। নোভাক জকোভিচ, কার্লোস আলকারাস, আরিয়ানা সাবালেঙ্কা, ইগা স্বোয়াতেকদের মতো তারকাদের পাশাপাশি অনেক উঠতি প্রতিভাকেও দেখা যাবে। জকোভিচের মতো কিংবদন্তিকে দেখার সুযোগ পেলে কেউই হাতছাড়া করতে চাইবেন না। সারা বিশ্বের টেনিস অনুরাগীরা স্ট্যান্ডে হাজির থাকবেন।
খেলোয়াড়দের লক্ষ্য থাকে উইম্বলডন গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা। যে টুর্নামেন্টে আজও তার কৌলিন্য ধরে রেখেছে। সেই খেলা পরিচালনা করার মতো গুরু দায়িত্ব পালন করতে লন্ডন পাড়ি দিচ্ছেন শ্রীরামপুরের দুই আম্পায়ার সৈকত ও সোমনাথ। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে এই প্রতিযোগিতায় আম্পায়ারিং করে আসছেন সৈকত রায়। হুগলির শ্রীরামপুরের মাসির বাড়ি সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা সৈকত। একটা সময় হাত খরচ চালানোর জন্য লন টেনিস প্রতিযোগিতায় আম্পায়ারিং শুরু করেন। ১৯৯৮ তে কলকাতায় উইম্বলডন এর মূল রেফারি মিস্টার জেরী আর্মস্ট্রং এসেছিলেন। সেখানে সৈকত রায়ের সঙ্গে আলাপ। সেই থেকেই আর্মস্ট্রং অনুপ্রেরণা জোগান সৈকত, সোমনাথদের। আম্পায়ারিংটাকে প্রফেশন হিসেবে বেছে নেওয়ার ভরসা দেন।
এরপর থেকে বছর দশেক পেরিয়ে যাওয়ার পর হঠাৎই একদিন ডাক আসে লন্ডনে উইম্বলডন প্রতিযোগিতায় লাইন আম্পায়ার হিসেবে যোগ দেওয়ার জন্য। সেই ২০১০ সালে শুরু তারপর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি সৈকত রায়কে। একের পর এক গ্র্যান্ড স্লাম টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপের আম্পায়ারিং করিয়ে আসছেন সৈকত রায়। কাছ থেকে দেখেছেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সব টেনিস তারকাদের খেলা।
একই সঙ্গে ২০১১ সাল থেকে উইম্বলডন প্রতিযোগিতায় লাইন আম্পায়ার হিসেবে সুযোগ পান শ্রীরামপুর নগার বাসিন্দা সোমনাথ মান্না। তিনিও ২০ তারিখ রওনা দেবেন লন্ডনের উদ্দেশ্যে। এই বছর উইম্বলডন শুরু হবে ১ জুলাই। গোটা বিশ্বের নজর থাকবে প্রতিযোগিতায়। আর সেই টুর্নামেন্টের বিভিন্ন ম্যাচ পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন শ্রীরামপুরের দুই বাঙালি সৈকত ও সোমনাথ।