কে বীরেন্দ্র সেওয়াগ? ভরা সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্রুপ সাকিব আল হাসানের
কলকাতা: ব্যাটে রান না এলে, ঝুলিতে উইকেট না এলে যে কোনও ক্রিকেটারকে নিয়ে আলোচনা তো হবেই। এ বারের বিশ্বকাপে প্রথম তিন ম্যাচে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান (Shakib Al Hasan) রান পাননি। শুধু তাই নয়, সাকিব উইকেটও পাচ্ছিলেন না। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় কিংবদন্তি বীরেন্দ্র সেওয়াগ (Virender Sehwag) ক্রিকবাজকে জানিয়েছিলেন, তাঁর মনে হয় সাকিব আল হাসানের অবসরের সময় অনেক আগেই চলে এসেছিল। বীরুর এই মন্তব্য ভালো ভাবে নেননি সাকিব। ডাচদের বিরুদ্ধে সাকিব ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদে বাংলাদেশকে জিতিয়েছেন। তারপরই তাঁকে বীরুর মন্তব্য প্রেস কনফারেন্সে জানানো হলে, তার বিদ্রুপ ভরা জবাব দিলেন সাকিব।
চলতি টি-২০ বিশ্বকাপে সাকিব ফর্মে না থাকায় ঠিক কী বলেছিলেন বীরু? তিনি বলেন, ‘শেষ বিশ্বকাপের সময় আমি ভেবেছিলাম ওকে আর টি-২০ ফর্ম্যাটে বেছে নেওয়া হবে না। অনেক আগেই ওর অবসরের সময় চলে এসেছিল। তুমি সিনিয়র প্লেয়ার, দলের অধিনায়কও ছিলে। সম্প্রতি যে পারফর্ম করছো, তাতে তোমার লজ্জা পাওয়ার কথা। তোমার নিজের ফর্ম দেখে এ বার অবসর ঘোষণা করা উচিত। যদি তোমাকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে অভিজ্ঞতার জন্য নেওয়া হয়েছে, তা হলে সেটা প্রমাণ করো। ক্রিজে সময় অন্তত কাটাও। তুমি অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বা ম্যাথিউ হেডেন নও। হুক আর পুল তোমার শক্তি নয়, তুমি একজন বাংলাদেশি প্লেয়ার। নিজের শক্তি অনুযায়ী খেলো।’
সাকিব যেন সেওয়াগকে উত্তর দেওয়ার সুযোগের খোঁজে ছিলেন। নেদারল্যান্ডসকে হারানোর পর প্রেস কনফারেন্সে আসেন তিনি। সেখানে এক সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনার পারফরম্যান্স নিয়ে অনেক ধরনের কথা, আলোচনা, সমালোচনা চলছে। বিশেষ করে বীরেন্দ্র সেওয়াগের একটা কমেন্ট খুব আলোচনা হয়েছে।’ এরপর হঠাৎ করেই সাকিব বলেন, ‘কে?’ ওই সাংবাদিক বলেন, ‘বীরেন্দ্র সেওয়াগ।’ সাকিবের এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
Shakib Al Hasan, the most arrogant cricketer in the his history.
Journalist: There has been lot of discussions about your performance especially criticize by Virendra Sehwag”
Shakib: Who is Sehwag?
pic.twitter.com/wtqlGrdeX3— Farrago Abdullah Parody (@abdullah_0mar) June 14, 2024
এরপর অবশ্য সাকিব প্রেস কনফারেন্সে বলেন, ‘একজন ক্রিকেটার কখনও কোনও প্রশ্নর উত্তর দিতে আসে না। একজন প্লেয়ার যদি ব্যাটার হয়, তা হলে তার কাজ দলের জন্য ব্যাট করা। এবং টিমের হয়ে অবদান রাখা। যদি কোনও প্লেয়ার বোলার হয়, তা হলে তাঁর কাজ ভালো বল করা। উইকেট পাওয়াটা ভাগ্যর বিষয়। যদি কেউ ফিল্ডার হয়, তার কাজ প্রতিটা রান আটকানো। যত সম্ভব ক্যাচ নেওয়া। ফলে এখানে সত্যিই কাউকে কিছু উত্তর দেওয়ার নেই। আমি মনে করি, একজন প্লেয়ারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ যে তিনি দলের হয়ে কতটা অবদান রাখতে পারছেন। যদি কেউ অবদান না রাখতে পারে, তা হলে তো তাকে নিয়ে তো স্বাভাবিকভাবেই আলোচনা হবে। আমি মনে করি না এতে খারাপ কিছু আছে বলে।’