ক্রিকেটারদের সবচেয়ে বড় শক্তি কী? বিশ্বের যে কোনও ক্রিকেটারই বলবেন, সমর্থকরাই তাঁদের মূল শক্তি। সুখের সময়েও যেমন তারা পাশে থাকেন, তেমনই খারাপ সময়েও ভরসা দেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বেই বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান। সমর্থকরা হতাশ হবেন এটাই স্বাভাবিক। তাঁরা কিন্তু মুখ ফিরিয়ে নেননি। প্রতি ম্যাচেই মাঠে থেকে দলকে তাতিয়েছেন। এমনকি ফ্লোরিডায় আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিয়মরক্ষার ম্যাচেও কাড়ি কাড়ি টাকা খরচা করে পাকিস্তানের প্রচুর সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। বৃষ্টিতে ফ্লোরিডায় আগের ম্যাচগুলি ভেস্তে যাওয়ায় পাকিস্তান ম্যাচ নিয়েও আশঙ্কা ছিল। সেই আশঙ্কা থাকলেও প্রিয় দলকে সমর্থন জানাতে গ্যালারিতে ছিলেন। যাঁরা ক্রিকেটারদের খারাপ সময়ে, বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পরও পাশে থেকেছেন, সেই সমর্থককে মারতে তেড়ে গেলেন পাকিস্তানের পেসার!
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল পাকিস্তান। এরপর ভারতের কাছেও হার। কানাডার বিরুদ্ধে জিতলেও পাকিস্তানের সামনে জটিল অঙ্ক ছিল। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে নামার আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের। এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এক ভিডিয়ো। হাতের পাঁচটা আঙুল কখনও সমান হয় না। সমর্থকদের ক্ষেত্রেও তাই। অভিমান ঝরে পড়ে। কোনও ক্রিকেটারকে কাছে পেলে তা খোলাখুলি বলেও ফেলেন। আর এতেই রেগে আগুন পাক পেসার হ্যারিস রউফ।
নিউ ইয়র্কের টিম হোটেলে হ্যারিসের দেখা পেয়ে আনন্দে ছিলেন পাক সমর্থকরা। কিন্তু বিশ্বকাপ বিপর্যয়ের আক্ষেপও। বেশ কয়েকজন ছিলেন। এর মধ্যে একজন সেই অভিমান আটকে রাখতে পারেননি। এতেই সমস্যা বাড়ে। সেই ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক সমর্থককে মারতে তেড়ে গেলেন হ্যারিস রউফ। তাঁর পরিবারের লোকও আটকানোর চেষ্টা করেন। এমনকি নিরাপত্তাকর্মীরাও হ্যারিসকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। তাতেও লাভ হচ্ছিল না। অবশেষে নিরাপত্তাকর্মী বলপূর্বক হ্যারিসকে আটকান। অভিমান নিয়েই সেখান থেকে চলে যান পাক সমর্থকরা।
রইল সেই ভিডিয়ো
Fans must behave, players are with families and have a personal life too. Abusing and chanting isn’t the way! Disgusting behavior 👎🏼👎🏼👎🏼
Haris Rauf was furious, this isn’t good 👀 #T20WorldCuppic.twitter.com/tc9EhcW3j1
— Farid Khan (@_FaridKhan) June 18, 2024