পরিসংখ্যান বলছে ‘বোলারদের’ বিশ্বকাপ, সুপার এইটে খেলা ঘুরবে!


ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে চার ছয়ের বন্যা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লো-স্কোরিং ম্যাচ। বিশেষ করে বলতে হয় আমেরিকা পর্বের কথা। তবে গ্রুপের খেলা শেষ। আজ শুরু বিশ্বকাপের সুপার এইট পর্ব। সুপার এইটে আজ প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হতে চলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও আমেরিকা। খাতায় কলমে দক্ষিণ আফ্রিকা নিঃসন্দেহে শক্তিশালী দল। যদিও প্রথম বার বিশ্বকাপ খেলতে নামা আমেরিকা যে ভাবে পারফর্ম করছে, তাদের আর যাই হোক হালকা নেওয়ার কোনও সুযোগই নেই। পরিসংখ্যান বলছে, এ বার বোলারদের বিশ্বকাপ! আমেরিকার ড্রপ ইন পিচ ব্যাটারদের কাছে আতঙ্ক হয়ে উঠেছিল। সুপার এইট পর্বে ক্যারিবিয়ানে। আজ থেকেই কি খেলা ঘুরবে? বোলারদের বিশ্বকাপে ব্যালান্স হবে!

প্রথম রাউন্ডের ৪০ ম্যাচ শেষ। রান রেটের দিক থেকে এ বারের বিশ্বকাপ লো-স্কোরিং। টপ অর্ডার ব্যাটারদের জন্য আরও যেন আতঙ্কের বিষয় ছিল। টপ থ্রি ব্যাটারদের শূন্যর নিরিখে সব বিশ্বকাপ ছাপিয়ে গিয়েছে এ বারের টুর্নামেন্ট। টপ থ্রি-ব্যাটারদের মধ্যে ২০১৪ সালে ২২ বার শূন্য রানে আউটের ঘটনা ঘটেছে। ২০২১ সালে সংখ্যাটি ছিল ২১। সব ছাপিয়ে এ বারের বিশ্বকাপে ৩২ বার টপ থ্রি-ব্যাটার শূন্য করেছেন! টপ থ্রি-তে খেলা কোনও ব্যাটারই সেঞ্চুরি করতে পারেননি এ বারের বিশ্বকাপে। হাফসেঞ্চুরি এসেছে ১৬টি!

বোলারদের মধ্যেও স্পিন এবং পেসারদের পারফরম্যান্সের তারতম্য দেখে নেওয়া যাক। আমেরিকা পর্বে পেসাররা নিয়েছেন ১২৫টি উইকেট। মেডেন ১২টি। স্পিনাররা নিয়েছেন মাত্র ৩৪ উইকেট। কোনও মেডেন নেই। তেমনই ওয়েস্ট ইন্ডিজে পেসাররা নিয়েছেন ১৮১ উইকেট, মেডেন ১৮টি। ক্যারিবিয়ানে স্পিনাররা নিয়েছেন ১১৬ উইকেট, ৮টি মেডেন।

লো-স্কোরের পরিসংখ্যান একবার দেখে নেওয়া যাক, এর আগে সবচেয়ে বেশি ১০০-র নীচে স্কোর হয়েছিল ২০১৪ ও ২০২১ সালে। ৮ ম্যাচে ১০০-র কম স্কোর হয়েছিল। এ বার ইতিমধ্যেই সংখ্যাটা ১২! টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে ২০০-র উপর স্কোর সবচেয়ে বেশি হয়েছিল উদ্বোধনী সংস্করণে। ৫টি ২০০ প্লাস স্কোর ছিল। এ বার মাত্র তিনটি। এবং এই তিনটিই কিন্তু ক্যারিবিয়ান পর্বে। সে কারণেই মনে করা হচ্ছে, সুপার এইট পর্বে খেলা ঘুরবে ব্যাটারদের দিকে।

Leave a Reply