এ বারের বিশ্বকাপে এখনও অবধি জ্বলে উঠতে ব্য়র্থ বিরাট কোহলি। গ্রুপ লিগে ভারতের একটি ম্যাচ ভেস্তে গিয়েছিল। প্রথম তিন ম্যাচ জিতে সুপার এইট নিশ্চিত করেছিল ভারতীয় দল। যদিও বিরাট কোহলির অবদান মাত্র ৫ রান। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে তাঁর যা পারফরম্যান্স ছিল, সেই নিরিখে ব্যর্থতা ছাড়া আর কীই বা বলা যায়। আইপিএলেও ওপেন করেন বিরাট কোহলি। সেই সাফল্য দেখেই বিরাটকে ওপেন করানোর দাবি উঠেছিল বিশ্বকাপে। এখনও অবধি সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণ হয়েছে। আমেরিকার কঠিন পরিস্থিতিতে সাফল্য পাননি। সুপার এইট পর্ব ক্যারিবিয়ানে। ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে মরিয়া বিরাট কোহলি। সেই প্রত্যাশায় ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরাও।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। বাকি দু-ম্যাচে বড় রান পাননি তিনিও। সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে ভারতের সামনে আফগানিস্তান। আর এই ম্যাচে বিরাট কোহলি ও রোহিতের মধ্যে যেন একটা ব্যক্তিগত প্রতিদ্বন্দ্বিতাও রয়েছে। আখেরে সেই প্রতিযোগিতা দীর্ঘ হলে লাভ ভারতীয় দলেরই। সেই অপেক্ষাতেই ক্রিকেট প্রেমীরা। যদিও দৌড়ে এগিয়ে-পিছিয়ে নেই কেউ।
পুরুষদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড পাকিস্তানের বাবর আজমের দখলে। বার্বাডোজে তাঁকে বিরাট নাকি রোহিত, কে ছাপিয়ে যাবেন, সেটাই আকর্ষণের বিষয়। ১২৩ ম্যাচ খেলে ১১৬ ইনিংসে বাবর আজমের ঝুলিতে রয়েছে ৪১৪৫ রান। বিরাট কোহলি ১২০ ম্যাচে ১১২ ইনিংসে করেছেন ৪০৪২ রান। প্রথম তিন ম্যাচে ব্যর্থ না হলে কিংবা গ্রুপ পর্বে ভারতের শেষ ম্যাচ ভেস্তে না গেলে হয়তো এই গ্যাপ অনেকটাই কম থাকত।
মজার বিষয় হল, ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মারও ৪০৪২ রান রয়েছে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে। রোহিত অবশ্য অনেক বেশি ম্যাচ খেলেছেন বিরাটের তুলনায়। ১৫৪ ম্যাচে ১৪৬ ইনিংসে এই রান ক্যাপ্টেনের। কাল আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেই বাবরের রেকর্ড ছাপিয়ে যেতে বিরাট-রোহিত দু-জনেরই চাই ১০৪ রান! বার্বাডোজের পরিস্থিতি আমেরিকার মতো ব্যাটারদের আতঙ্ক থাকবে না, এই প্রত্যাশাই করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কালও এই রেকর্ড হতে পারে, আশা রাখাই যায়।