সুপার এইটে আজ ভারতের ভাবনা ‘এইট’ আর ‘এইটিন’


গ্রুপ পর্বের পরীক্ষায় পাশ। ভারতীয় দলের এ বার সুপার এইট পরীক্ষা। এই ধাপ পেরোতে পারলে সেমিফাইনাল। আর তারপরই…। এখনই অবশ্য এতকিছু ভাবার সময় আসেনি। বরং প্রতিটা ম্যাচ ধরে ভাবাই শ্রেয়। ভারতের টিম ম্যানেজমেন্টও সেটাই চাইছে। যদিও পরিস্থিতি তেমন নয়। গ্রুপ পর্বের ম্যাচ আমেরিকায় খেলেছে ভারত। প্রথম তিন ম্যাচই নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলেছে ভারত। ফ্লোরিডার ম্যাচটি ভেস্তে গিয়েছিল। নিউ ইয়র্কে ড্রপ ইন পিচ। প্রবল সমস্যায় পড়েছিলেন ব্যাটাররা। এর মধ্যেও বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স রয়েছে। তেমনই দুটো হতাশার জায়গাও।

প্রথম তিন ম্যাচেই রান পাননি ১৮ নম্বর জার্সির বিরাট কোহলি। বর্তমান প্রজন্মের সেরা ব্যাটার তিন ম্যাচে করেছেন মাত্র পাঁচ রান। নিউ ইয়র্কের ড্রপ ইন পিচে মানিয়ে নিতে প্রবল সমস্যায় পড়েছিলেন। ফ্লোরিডায় ম্যাচটি হলে এবং বিরাট রান পেলে কিছুটা স্বস্তিতে থাকা যেত। বিশ্বকাপের শুরুতে অনেকেই চাইছিলেন, রোহিতরে সঙ্গে ওপেন করুক বিরাট কোহলি। সেটাই হয়েছে। সাফল্য আসেনি। সুপার এইটের আগে ধোঁয়াশা, ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন করা হবে না তো! এখনও অবধি যা খবর, তাতে কম্বিনেশন ভাঙার ভাবনা নেই ভারতীয় শিবিরে। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেও ওপেন করবেন বিরাট-রোহিতই।

একটা চিন্তা যদি হয় ১৮ নম্বর জার্সির ফর্ম, তেমনই ৮ নম্বর জার্সির রবীন্দ্র জাডেজাও। ভারতীয় দল চারজন অলরাউন্ডার খেলিয়েছে। দু-জন পেস বোলিং অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া ও শিবম দুবে। দুই স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল ও রবীন্দ্র জাডেজা। গ্রুপ পর্বে অক্ষরের ব্যাটিং কাজে এসেছে। তেমনই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেক থ্রুও দিয়েছেন। কিন্তু আইপিএলে যেমন পারফর্ম করতে পারেননি, তেমনই গ্রুপ পর্বে জাডেজার কোনও ছাপই পাওয়া যায়নি। ভারত অপরাজিত থাকায় বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি আলোচনাও হয়নি। সুপার এইটের আগে অনুশীলনে বাড়তি জোর দিতে দেখা গিয়েছে জাডেজাকে।

নিউ ইয়র্কে মূলত পেসারদের দাপট দেখা গলেও ক্যারিবিয়ানে স্পিনারদের জন্যও সুবিধা থাকছে। তেমনই ব্যাটারদের আতঙ্ক কম। ভারতীয় শিবিরে সে কারণেই ভাবনার জায়গা, বোলিং আক্রমণে কুলদীপ যাদবের মতো রিস্ট স্পিনারকে কী ভাবে যোগ করা যায়। জাডেজাকে হয়তো এখনই বাদ দেওয়া হবে না। বরং স্পেশালিস্ট পেসার হিসেবে অর্শদীপ ও বুমরাকে খেলিয়ে সিরাজের পরিবর্তে খেলানো হতে পারে কুলদীপকে। আবার শিবম দুবের জায়গায়ও ভাবা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে চিন্তা থাকবে ব্যাটিং গভীরতা নিয়ে। নিউ ইয়র্কে লো-স্কোরিং ম্যাচ হলেও ব্রিজটাউনে ২০০-র আশেপাশে রান তোলা কঠিন হবে না। ফলে বোলিং বিভাগে বৈচিত্র দরকার। আর এই অঙ্কেই কুলদীপকে খেলানোর সম্ভাবনা প্রবল।

Leave a Reply