TT: জবাব দিয়েছে দুটো কিডনিই, সপ্তাহে দু’বার ডায়ালিসিস, দ্রোণাচার্য কোচ জয়ন্তর পাশে মৌমা-অনিন্দিতারাImage Credit source: নিজস্ব চিত্র
৪০ বছরেরও বেশি কোচিং জীবন। তাঁর হাত ধরে উঠে এসেছে অনেক নাম। কেউ অলিম্পিকে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কেউ আবার এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ গেমস থেকে এনেছেন পদক। বাংলা এবং ভারতীয় টেবল টেনিসকে দীর্ঘ সময় ধরে সমৃদ্ধ করেছেন যিনি, সেই তিনিই এখন প্রবল অসুস্থ। দুটো কিডনিই কার্যত জবাব দিয়ে দিয়েছে। যাঁর হাত ধরে হারতে হারতে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন মৌমা দাস, অনিন্দিতা চক্রবর্তীরা, তাঁদের কোচ কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন? সেই লড়াই করে যাচ্ছেন দেশের নামী টিটি কোচ জয়ন্ত পুশিলাল।
কিছুদিন আগে দ্রোণাচার্য পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন জয়ন্ত। শনিবার তাই জয়ন্তর ছাত্রছাত্রীরা স্যারকে সম্মান জানানোর জন্য হাজির হয়েছিলেন। সেখানেই জয়ন্ত তুলে ধরলেন যন্ত্রণার এক অন্য মুখ। টিভি নাইনকে বলে দিলেন, ‘শারীরিক অবস্থা ভীষণ খারাপ। সেই সঙ্গে আর্থিক ভাবেও খারাপ জায়গায় দাঁড়িয়ে। এমন কঠিন সময়ে চাইব, আমার ছাত্রছাত্রীরা যেন আমার পাশে দাঁড়ায়। তা হলে হয়তো…!’ কথা শেষ করতে পারলেন না জয়ন্ত। বয়স হয়েছে অনেকটাই। দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন ক্রীড়াগুরু জয়ন্ত পুশিলাল। সপ্তাহে দু’বার ডায়ালাইসিস করাতে হয়। তারই ধকলে যেন বয়স বেড়ে গিয়েছে আরও।
বাংলার টেবিল টেনিসে এক উজ্জ্বল নাম জয়ন্ত পুশিলাল। তাঁর নারকেলডাঙার অ্যাকাডেমি ছিল বাংলার টেবিল টেনিসের আঁতুড়ঘর। সেই কারখানা থেকে উঠে এসেছেন একের পর এক তারকা। অজস্র ছাত্র-ছাত্রী জাতীয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলেছেন দাপটের সঙ্গে। তাঁর হাত ধরে বেরিয়ে এসেছে একের পর এক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। বাংলার টেবিল টেনিসকে উজাড় করে দিয়েছেন সবটা। জীবনের শেষ সময়ে সেই দ্রোণাচার্য কোচ তাঁর ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বারস্থ। ক্রীড়াগুরুর দরকার কিডনি প্রতিস্থাপন। গুরুর ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছেন বাংলার অলিম্পিয়ান মৌমা দাস, অনিন্দিতা চক্রবর্তীরা। আর্থিক সঙ্গতি থেকে শুরু করে চিকিৎসার সমস্ত দিক দেখভালের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁর শিষ্যরা।
অলিম্পিয়ান মৌমা দাস বলে দিলেন, ‘স্যার আমাদের অনেক কিছু দিয়েছেন। স্যারের পাশে থাকব না, তাই হয় নাকি! আমরা স্যারের পরিবারের সঙ্গে কথা বলব। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি, যাতে স্যারের জন্য চিকিৎসার পুরো ব্যবস্থাটা করা যায়। আশা করি কিছু একটা করতে পারব।’