‘ধাগা খুলে নিল’ মিডল অর্ডার, বাংলাদেশকে বিশাল টার্গেট ভারতের


বিরাট-রোহিতের দুর্দান্ত শুরু। ইনিংসের গতি মন্থর হতে দিল না মিডল অর্ডার। কিছুটা অস্বস্তি নবম ওভারে বিরাট ও সুর্যর উইকেট হারানোয়। যদিও ঋষভ পন্থ, শিবম দুবে, হার্দিক পান্ডিয়ারা কার্যত ধাগা খুলে নিলেন। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। শুরুর দিকে পিচের আর্দ্রতা কাজে লাগিয়ে ভারতীয় টপ অর্ডারকে চাপে রাখাই লক্ষ্য ছিল। সেটা হতে দেয়নি ভারত। ব্যাটারদের যেন একটাই লক্ষ্য ছিল, অ্যাটাক। ভারতীয় ইনিংসে সব মিলিয়ে ১৩টি ছয়। বাউন্ডারি একডজন। ব্যাটারদের জন্য ভালো পিচ। তবে ভারতীয় বোলিং লাইন আপে জসপ্রীত বুমরা রয়েছেন। ১৯৬ রানের পুঁজি তাই কম বলা যায় না।

বিরাট কোহলির মতো রোহিতও শুরু থেকেই বিধ্বংসী। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে স্টেপ আউট করে ৯৬ মিটারের বিশাল ছয়ও মারেন। পরের বলেই বাউন্ডারি। কিন্তু এরপরই বড় শটের চেষ্টা। ১১ বলে ২৩ রানে ফেরেন রোহিত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উইকেটের হাফসেঞ্চুরি সাকিবের। আর তাঁর ৫০তম শিকার রোহিত। বিশ্বের প্রথম বোলার হিসেবে এই নজির। পাওয়ার প্লে-তে ১ উইকেটে ৫৩ করে ভারত।

বিরাট যে ভাবে ব্যাট করছিলেন, তাতে অবশ্য় চাপে পড়েনি টিম। ঋষভ পন্থ কিছুটা সময় নিয়ে শুরু করেন তাঁর সহজাত খেলা। নবম ওভারে বিরাট ও পরপর দু-ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করা সূর্য আউট। ঋষভ পন্থ ২৪ বলে ৩৬ রান করেন। ভারতীয় শিবিরে অস্বস্তি ছিল শিবম দুবের পারফরম্যান্স। এ দিন ২৪ বলে ৩৬ রানে কিছুটা হলেও ভরসা দিলেন। তবে বাড়তি কৃতিত্ব প্রাপ্য হার্দিক পান্ডিয়ার। ইনিংসের শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ৫ উইকেটে ১৯৬ রান ভারতের। এই মাঠে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এটিই সর্বাধিক।

Leave a Reply