ভার্চুয়ালি সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে ভারত। কিন্তু অঙ্কের হিসেবে নয়। ফলে যতক্ষণ না অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয় আসছে, অঙ্ক থাকবেই। সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা যেমন লক্ষ্য়, তেমনই বিশ্বকাপ ফাইনালের বদলাও। সেই পথে দারুণ জায়গায় ভারত। শুরুটা হয়েছিল রোহিত শর্মার ব্যাটে। মাঝে স্কাইয়ের ক্যামিও। এরপর শিবম ও দুর্দান্ত ছন্দে থাকা হার্দিক পান্ডিয়া। সুপার এইট পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ২০৬ রানের বিশাল টার্গেট দিল ভারত। এখন ভরসা বোলাররা। এই ম্যাচ হারলে অস্ট্রেলিয়ার বিদায় কার্যত নিশ্চিত। যদি না সকালে বাংলাদেশ হারিয়ে দেয় আফগানিস্তানকে। তবে ভারত হারলেও কিন্তু চালকের আসনেই থাকবে। অস্ট্রেলিয়া কত ওভারে এই রান তাড়া করছে তার উপর নেট রান রেট নির্ভর করবে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট পর্বের গ্রুপ ১ জমিয়ে দিয়েছে আফগানিস্তান। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে তারা। সে কারণেই অঙ্ক জটিল হয়েছে। ভারত-অস্ট্রেলিয়া হাইভোল্টেজ ম্যাচের ফলের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের প্রার্থনা, বড় ব্য়বধানে অস্ট্রেলিয়াকে হারাক ভারত। তা হলে এই দু-দলের কাছেই সেমিফাইনালের সুযোগ থাকবে।
মরণ বাঁচন ম্যাচে টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক মিচেল মার্শ। শুরুতেই বিরাট কোহলির উইকেট তুলে নিয়ে দারুণ সাফল্য। রোহিত অবশ্য স্বস্তিতে থাকতে দেননি। একের পর এক বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারিতে অজিদের মাথাব্যথা বাড়িয়ে তোলেন। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস রোহিতের। প্রায় ২২৫ রানের স্ট্রাইকরেটে ৯২ রান করেন রোহিত। দুরন্ত ছন্দে থাকা পন্থ অবশ্য এ দিন বড় রান পাননি। সূর্যকুমার যাদব ১৬ বলে ৩১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন।
ভারতকে হয়তো এরপরও ২০০-র মধ্যেই আটকে রাখতে পারত অস্ট্রেলিয়া। ব্যক্তিগত ৪ রানে হার্দিকের ক্যাচ ফসকান ক্যাপ্টেন মিচেল মার্শ। তখনও প্রায় ৪ ওভার বাকি। শেষ অবধি ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৫ রান করে ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এটিই ভারতের সর্বাধিক স্কোর। হার্দিক ১৭ বলে ২৭ রানে অপরাজিত।