অষ্টম ওভারে মহম্মদ নবির বলে তৌহিদ হৃদয়ের ক্যাচ ফসকান ফজলহক ফারুকি। হাওয়ার জন্য চাপে পড়েন। পরের ডেলিভারিতে নুর আহমেদের ভুলে বাউন্ডারি। পরপর বাউন্ডারিতে ফের বাংলাদেশ শিবিরে আশার আলো। নবম ওভারে তৌহিদ হৃদয়কে ফেরান রশিদ খান। বাংলাদেশ যে ভাবে এগচ্ছিল, আফগানিস্তানের কাছে উইকেট নেওয়া ছাড়া বিকল্প ছিল না।
অবিশ্বাস্য রিভিউতে মাহমুদুল্লাহর উইকেট নেয় আফগানিস্তান! ইনিংসের ১১তম ওভার। পঞ্চম ডেলিভারি। চোটের জন্য মাঠ ছেড়েছিলেন আফগান কিপার গুরবাজ। পরিবর্ত কিপার মহম্মদ ইসাক আউটের আবেদন করেন। অনফিল্ড আম্পায়ার নীতীন মেনন আউট দেননি। আত্মবিশ্বাসী ছিলেন কিপার। রশিদ খানকে রাজি করান। শেষ অবধি কিপারের ভরসায় রিভিউ নেন রশিদ। সেই সিদ্ধান্তই সঠিক প্রমাণ হয়। পরের বলে রিশাদকে ফেরান রশিদ।
বৃষ্টিতে ফের খেলা বন্ধ হয় এবং বাংলাদেশের জয়ের টার্গেট দাঁড়ায় ১৯ ওভারে ১১৪ রান। তবে সেটায় লাভ হত অস্ট্রেলিয়ার। হাল ছাড়েনি আফগানিস্তান। উল্টোদিক থেকে উইকেট নিলেও বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়াকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন লিটন দাস। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারে আরও একটি হাফসেঞ্চুরি করে ক্রমশ আফগানিস্তানের স্বপ্ন ভাঙার রাস্তায় ছিলেন।
ডিএলএসে শেষ ১২ বলে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২ রান। লিটন দাস ক্রিজে থাকায় তাদের জয়ের সম্ভাবনাই বেশি ছিল। অস্ট্রেলিয়াও সেই প্রার্থনাতেই ছিল। ১৮তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন নবীন উল হক। প্রথম বলেই সিঙ্গল নেন লিটন। উল্টোদিকে তাসকিন আহমেদ। সিঙ্গল নিয়েই এগতে থাকে বাংলাদেশ। তৃতীয় ডেলিভারিতে লিটনকে ফেরানোর সুযোগ এসেছিল। ফলো থ্রুতে হাতে বল জমাতে পারেননি নবীন। চতুর্থ বলে তাসকিনের উইকেট নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন নবীন উল হক।
এরপরই ফের বৃষ্টি। সে সময় ডিএলএসে এগিয়ে ছিল আফগানিস্তান। ফলে ম্যাচ ভেস্তে গেলে লাভ আফগানিস্তানেরই। বৃষ্টি অবশ্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ক্রিজে মুস্তাফিজুর রহমান। ওভারের দু-বল বাকি। নবীনের কাছে সুযোগ ছিল ফিজকে ফিরিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার। পঞ্চম বলে ফিজকে লেগ বিফোর করে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেন নবীন উল হক। ডিআরএস নেয় বাংলাদেশ। তাতেও লাভ হয়নি।