সামনেই জিম্বাবোয়ে সফর। প্রত্যাশিত ভাবেই টিমে রয়েছেন বাংলার পেসার মুকেশ কুমার। গত দু-তিন বছরে দুর্দান্ত উত্থান হয়েছে মুকেশের। টেস্ট, টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্ট্যান্ড বাইতে থাকবেন, এমনটাই প্রত্যাশিত ছিল। তবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ মরসুম সে অর্থে ভালো যায়নি মুকেশের। নিজের নাম কিংবা দক্ষতা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেননি। জিম্বাবোয়ে সফরের আগে ম্যাচ প্র্যাক্টিসের যে সুযোগ পেয়েছেন, দুর্দান্ত ভাবে কাজে লাগাচ্ছেন ভারতীয় দলের পেসার। কার্যত একার হাতেই দলকে বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি লিগের ফাইনালে তুললেন মুকেশ কুমার।
উদ্বোধনী বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি লিগের প্রথম সেমিফাইনাল। ইডেন গার্ডেন্সে মুখোমুখি হয়েছিল সোবিস্কো স্ম্যাশার্স মালদা ও লাক্স শ্যাম কলকাতা টাইগার্স। অভিষেক পোড়েলের নেতৃত্বাধীন কলকাতা টাইগার্সকে ৬ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারাল মালদা। এর জন্য কৃতিত্ব প্রাপ্য পেসার মুকেশ কুমার ও অলরাউন্ডার ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়ের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স।
টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় মালদা। ইডেনের পিচে পেসারদের জন্যও সহায়তা থাকে। আর মুকেশ কুমারের মতো আন্তর্জাতিক মানের পেসার যে এর সুবিধা তুলবেন সেটাই স্বাভাবিক। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসেন মুকেশ। দ্বিতীয় ডেলিভারিতেই তাঁকে বাউন্ডারি মারেন টাইগার্সের ওপেনার করণ লাল। পঞ্চম ডেলিভারিতে করণ লালকে ফেরান মুকেশ। স্পেলের প্রথম ওভারে ৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন।
পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে ফের বোলিংয়ে আসেন মুকেশ। এই ওভারে ৬ রান দিলেও উইকেট পাননি। আসল খেল দেখান স্লগ ওভারে। ১৮তম ওভারে ৬ রান দিয়ে জোড়া উইকেট মুকেশের ঝুলিতে। ইনিংসের শেষ ওভারে ৫ রান দিয়ে ফের জোড়া উইকেট। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে মাত্র ১০৫ রান তোলে কলকাতা টাইগার্স। ক্যাপ্টেন অভিষেক পোড়েল সর্বাধিক ২৯ রান করেন।
রান তাড়ায় শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি মালদার। টাইগার্সের পেসার অনন্ত সাহা প্রথম ওভারে ১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। তবে ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়ের হাফসেঞ্চুরি এবং ঋতম পোড়েলের ৪২ পানের ইনিংস কোনও বিপদ আসতে দেয়নি। ১৬.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়েই জয়ের লক্ষ্য পার করে মালদা। ম্যাচের সেরা বেছে নেওয়া হয়েছে পাঁচ উইকেট নেওয়া মুকেশ কুমারকেই। ঋত্বিক হাফসেঞ্চুরি ছাড়াও ২ উইকেট নিয়েছেন।