ব্যাটিংয়ে ডিমোশন, গোল্ডেন ডাক দুবের; রিঙ্কু সিংকে নিয়ে হাহাকার বাড়ছেই


সব কিছু ঠিক থাকলে বিশ্বকাপের মূল স্কোয়াডে দেখা যেত রিঙ্কু সিংকে। ভারতের শেষ দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজেও দুর্দান্ত খেলেছিলেন। রোহিতের সঙ্গে একটা মহাকাব্যিক বিধ্বংসী জুটি বেঁধেছিলেন। তরুণ রিঙ্কু সিংকে নিয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিলেন টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন। তবে বিশ্বকাপের মূল স্কোয়াডে জায়গা হয়নি রিঙ্কুর। চার স্পিনার একটা কারণ। মূল কারণ অবশ্য়ই হার্দিকের ব্যাক আপ একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার। আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ছাপ ফেলেছিলেন শিবম দুবে। তাঁর উপরই ভরসা রাখা হয়। এখন কি হাত কামড়াচ্ছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট?

বিশ্বকাপে বিরাট কোহলির পারফরম্যান্স, ব্যর্থতা নিয়ে অনেক আলোচনাই চলছে। এর মধ্যে যেন আড়াল হয়ে যাচ্ছে শিবম দুবের পারফরম্যান্স। কিন্তু সেমিফাইনালে তাঁকে আর আড়াল করা গেল না। শিবম দুবে নিজের ভূমিকায় ব্যর্থ। ফিনিশারের মতো স্ট্রাইকরেট নেই। হাতে গোনা ম্যাচে রান করেছেন। বোলিং করানো হয়েছে একটি মাত্র ম্যাচেই। আর স্ট্যান্ড বাইতে জায়গা হয়েছিল রিঙ্কু সিংয়ের। প্রতি ম্যাচের আগেই দলের সকলের মতো একই তাগিদ নিয়ে প্র্যাক্টিস করেন। ম্যাচে মাঝে মাঝেই জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখা যায় তাঁকে। স্ট্যান্ডে বসে দলকে চিয়ার করছেন। টিম জার্সিতে নয়। ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের হাহাকার যেন বাড়ল সেমিফাইনালে।

বিরাট কোহলি শুরুতেই আউট। ঋষভ পন্থও এই ম্যাচে নজর কাড়তে পারেননি। এর মাঝে অবাক করল টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। শিবম দুবের আগে হার্দিককে পাঠানো হয়েছিল, তেমনই সূর্য আউট হতে জাডেজাকে পাঠানো হল। তা হলে কি শিবমের উপর ভরসা কমছে? হার্দিক আউট হতে পাঠানো হল শিবমকে। ব্যাটিং অর্ডারে ডিমোশন। মাঠে ঢোকার সময় পিচ সম্পর্কে শিবমকে ইনপুট দিয়েছিলেন হার্দিক। কিন্তু কোথায় কী!

সেমিফাইনালে গোল্ডেন ডাক শিবম দুবে। ক্রিস জর্ডনের ডেলিভারিতে খোঁচা দিয়ে বাটলারের হাতে আউট। ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের সেই হাহাকার যেন বাড়িয়ে দিল। কথা ছিল রিঙ্কু সিংয়ের সুযোগ পাওয়ার, কিন্তু আইপিএলের পারফরম্যান্স দেখে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল শিবমকে। প্রশ্ন উঠছে, এই সিদ্ধান্ত আদৌ কতটা ঠিক ছিল?

Leave a Reply