রি-প্লে, কিন্তু পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, ভারতীয় দলের লক্ষ্য সেটাই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আজ নামছে ভারত। এ বারের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। ভারতের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দেশ। পুরো টুর্নামেন্টে ভালো পারফর্ম করেও সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে ১০ উইকেটের হেরেছিল ভারত। স্বাভাবিক ভাবেই সেই পরিসংখ্যান অস্বস্তিতে রাখছে ভারতীয় শিবিরকে। গত বার অবশ্য টুর্নামেন্টের ফরম্যাট আলাদা ছিল। সুপার ১২ পর্বে একটি মাত্র ম্যাচই হেরেছিল ভারত। এরপর সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হার। এ বার অপরাজিত থাকাই কি আশঙ্কার আর এক কারণ?
এ বারের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে চারটির মধ্যে ভারতের একটি ম্যাচ ভেস্তে গিয়েছিল। প্রথম তিন ম্যাচ জিতেই সুপার এইট নিশ্চিত করেছিলেন রোহিতরা। তেমনই সুপার এইট পর্বেও জয়ের হ্যাটট্রিক করেই সেমিফাইনালে ভারত। একদিকে, এটা যেমন আত্মবিশ্বাসের জায়গা তেমনই আশঙ্কারও। তার কারণ গত ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। ঘরের মাঠে টানা দশ ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল ভারত। ট্রফির ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার।
আইসিসি ট্রফির সঙ্গে ভারতের দূরত্ব বেড়েছে। শেষ বার ২০১৩ সালে আইসিসি টুর্নামেন্ট জিতেছিল ভারত। এরপর সেমিফাইনাল, ফাইনাল অবধি পৌঁছলেও ট্রফি আসেনি। সেই বাধা কাটাতে গেলে এখনও দুটো ধাপ পেরোতে হবে ভারত। প্রথম ধাপে আজ ইংল্যান্ড। টিম এবং পারফরম্যান্সের নিরিখে ভারত অনেকটা এগিয়ে। একদিক থেকে বলা যায়, কোনও ব্যাটারই ধারাবাহিক নন। কিন্তু টিমকে আস্বস্ত করছে, প্রতি ম্যাচেই কেউ না কেউ গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে দলের জয়ে অবদান রাখছেন। গত ম্যাচের কথাই ধরা যাক। বিরাট কোহলি শূন্য হাতেই ফেরেন। রোহিত শর্মা ৯২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে ভিচ গড়ে দেন। এরপর মিডল অর্ডার দায়িত্ব পালন করে।
ভারতীয় ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে বড় অস্বস্তির জায়গা শিবম দুবে। হাতে গোনা ম্যাচে রান পেয়েছেন। কিন্তু ফিনিশারের মতো স্ট্রাইকরেট তাঁর ব্যাটিংয়ের দেখা যায়নি। তাঁকে অলরাউন্ডার হিসেবেই খেলানো হচ্ছে। আমেরিকা ম্যাচ ছাড়া তাঁকে দিয়ে আর বোলিংও করানো হয়নি। সুপার এইটে টানা তিন ম্যাচে অপরিবর্তিত একাদশ ধরে রাখলেও সেমিফাইনালে বদলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। স্পিন আক্রমণে জাডেজা, অক্ষর, কুলদীপ রয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে রোহিতও স্বীকার করেছেন, চার স্পিনারের ভাবনাও রয়েছে টিমের। সেক্ষত্রে শিবম দুবের পরিবর্তে যুজবেন্দ্র চাহালকে আনা হতে পারে একাদশে। যদিও ব্যাটিং গভীরতা কমবে তাতে।
ইংল্যান্ড টিমে পাওয়ার হিটার প্রচুর। জস বাটলার, ফিল সল্ট, লিয়াম লিভিংস্টোন, হ্যারি ব্রুক। বোলিংয়ে ধারাবাহিক নজর কাড়ছেন লেগস্পিনার আদিল রশিদ। ভারতের মূল শক্তি বোলিং আক্রমণ। বিশেষ করে বলতে হয় জসপ্রীত বুমরার কথা। যেমন উইকেট নিচ্ছেন, তেমনই রান কম দিয়ে প্রতিপক্ষ শিবিরে চাপ তৈরি করছেন। উল্টোদিক থেকে অন্য বোলাররা উইকেট নিতে পারছেন। সুপার এইটে ভারতের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি কুলদীপ যাদবের পারফরম্যান্স। সেমিফাইনালেও পার্থক্য গড়ে দিতে পারে কুলদীপ-বুমরা জুটি। এর সঙ্গে চাহালকে জুড়লে?