বিরাট কোহলির হাফসেঞ্চুরি, টিমকে ভেন্টিলেশন থেকে বের করলেন


ইনিংসের প্রথম ওভার। দ্বিতীয় বলেই স্ট্রাইক পান বিরাট কোহলি। কভার ড্রাইভে শুরু, পরের বলে অন ড্রাইভ, ফের একটা কভার ড্রাইভ। ৩ বলেই দু-অঙ্কের রানে বিরাট কোহলি। বাঁ হাতি পেসার মার্কো জানসেনকে আক্রমণে বিরাট-রোহিতকে চমকে দেওয়াই লক্ষ্য ছিল। স্টার্ক, রিস টপলিকে রোহিত যে ভাবে আপ্যায়ণ করেছিলেন। বিরাট কোহলি তেমনই করলেন প্রথম ওভারে। শেষ ডেলিভারিতে স্ট্রেট বাউন্ডারি। ইনিংসের প্রথম ওভারেই বিরাটের ব্যাটে তিনটি নিখুঁত ড্রাইভে বাউন্ডারি।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারই বিরাটের হিসেব কিছুক্ষণের জন্য গোলমাল করে দেয়। একই ওভারে ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা ও ঋষভ পন্থের উইকেট হারায় ভারত। রোহিত একদিকে থাকলে তিনি আক্রমণাত্মক খেলা চালিয়ে যেতে পারতেন। রোহিত-পন্থের পর সূর্যও ফিরতে ব্রেক কষতে হল বিরাটকে। অক্ষর প্যাটেলকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস গড়ায় মন দেন বিরাট কোহলি। চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে বিরাট কোহলি বারবার জ্বলে ওঠেন। ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা সেই প্রত্যাশাতেই ছিলেন।

পরিস্থিতি যা ছিল, ইনিংস অ্যাঙ্কর করতে হত। অক্ষর প্যাটেলকে সঙ্গে নিয়ে সেটাই চেষ্টা চালিয়ে যান। ধীরে ধীরে পার্টনারশিপ এগতে থাকে। সিঙ্গল, ডাবল নিলেন বেশ কিছু। মিডল ওভারে উইকেট বাঁচানোই লক্ষ্য় ছিল। অক্ষর আউট হতে শিবম দুবেকে সেই লক্ষ্যে অবিচল থাকেন বিরাট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বাধিক রান শিকারির ব্যাটে অবশেষে হাফসেঞ্চুরি!

এ বারের বিশ্বকাপে প্রথম হাফসেঞ্চুরি এল ৪৮টি ডেলিভারিতে। শুরুতেই তিন উইকেট হারিয়ে যে চাপ তৈরি হয়েছিল, সেই থেকে বের করতে সফল। মন্থর ইনিংস…তবে জরুরি সময়ে।

Leave a Reply