বিশ্বের সেরা টি-টোয়েন্টি ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব। আইসিসি ক্রমতালিকায় সদ্য শীর্ষস্থান হারালেও সেটা যে দ্রুতই দখল করবেন, নিশ্চিত থাকা যায়। এ বারের বিশ্বকাপে একাধিক ম্যাচে তাঁর ইনিংস পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তাঁর পরিসংখ্যানও ভালো। বছরের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিও করেছিলেন সূর্যকুমার যাদব। তাঁর বেশির ভাগ রানই আসে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট থেকে ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়্যার লেগ জোনে। পেস, বাউন্স যেমনই হোক, উইকেটে পিছনে পাঠাতে পিছপা হন না। এমনকি অফসাইডের বলও থার্ডম্যান বাউন্ডারি পার করতে পারেন। এ কারণেই মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি ডাকা হয় তাঁকে। ফাইনালে ভারতের অন্যতম ভরসা সূর্যকুমার যাদবের বিরুদ্ধে কী প্ল্যান হতে পারে প্রোটিয়াদের?
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সূর্যর পারফরম্যান্স খুবই ভালো। এখনও অবধি সব ধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে পছন্দের জোনে প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাডার বিরুদ্ধে ২৪ বলে ৬৬ রান তুলেছেন স্কাই। অনরিখ নর্ৎজের বিরুদ্ধে ১২ বলে ৩২ এবং বাঁ হাতি পেসারা মার্কো জানসেনের বিরুদ্ধে ৫ বলে ২৫! প্রোটিয়া পেসত্রয়ীর বিরুদ্ধে পছন্দের জোনে সূর্যকুমার যাদবের স্ট্রাইকরেট ২৯৮! এর অন্যতম কারণ, সূর্যর ট্রেডমার্ক সুপলা শট।
সূর্যকে আটকানোর জন্য প্রোটিয়া পেসারদের বিকল্প হতে পারে স্লোয়ার। হয়তো সেই পরিকল্পনাই গড়ছে প্রোটিয়া শিবির! আইপিএলে দেখা গিয়েছে, স্লোয়ার দিয়ে সাফল্য পেয়েছেন বোলাররা। সূর্যর স্ট্রাইকরেট যে খুব কমে যাচ্ছে তা নয়। ২০২৩ থেকে ১৪৮ স্লোয়ার ডেলিভারিতে ১৮০-র উপর স্ট্রাইকরেটে রান করেছেন সূর্য। কিন্তু তাঁর ব্যাটিং গড় কম থাকছে। গতির ডেলিভারিতে গড় ৪২.৩০ হলেও স্লোয়ারে তা অর্ধেক। তেমনই আউটের সংখ্যাও পার্থক্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভারতের টপ অর্ডার, বিশেষ করে পাওয়ার প্লে দাপট আটকাতে প্রোটিয়াদের প্ল্যান হতে পারে কেশব মহারাজ। সেমিফাইনাল হারের পর ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার বলেছিলেন, তিনি একটা বড় ভুল করেছেন। পাওয়ার প্লে-তে মইন আলিকে ব্যবহার করা উচিত ছিল। ভারতীয় দল এই পরিকল্পনাই করেছিল। পাওয়ার প্লে-তে বাঁ হাতি স্পিনার অক্ষরকে দিয়ে বোলিং করান রোহিত। এতে সাফল্যও মিলেছে। পাওয়ার প্লে-তে দুটি উইকেট নিয়েছিলেন অক্ষর। প্রোটিয়া শিবিরের পাওয়ার প্লে পরিকল্পনায় রয়েছেন বাঁ হাতি স্পিনার কেশব মহারাজ!