দীর্ঘ ১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতের ট্রফি খরা চলছিল। গত এক বছরের হিসেবই ধরা যাক। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল, গত বছর ওয়ান ডে বিশ্বকাপ ফাইনাল। যদিও ট্রফির কাছ থেকেই ফিরতে হচ্ছিল। অবশেষে সেই খরা কেটেছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নিরিখে ১৭ বছরের অপেক্ষা। আর আইসিসি ট্রফি ধরলে দীর্ঘ ১১ বছর। শেষ বার ২০১৩ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল ভারত। এ বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন ভারত। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে যা এর আগে কোনও দল করে দেখাতে পারেনি। পুরো দেশ সেলিব্রেশনে মেতে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও এই ট্রফি জয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসছে। বোর্ডের তরফে ১২৫ কোটি টাকার আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে পুরো টিমের জন্য়। কে কত পাবেন?
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল হয়েছে বার্বাডোজে। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়েছে ভারত। ব্যাট হাতে দাপট দেখিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। তেমনই পুরো টুর্নামেন্টের মতোই বোলারদের দাপট। চ্যাম্পিয়ন টিম হিসেবে আইসিসির তরফে বিশাল প্রাইজ মানি পেয়েছে ভারত। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এ বারই সবচেয়ে বেশি আর্থিক পুরস্কার দিয়েছে আইসিসি। সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আর্থিক পুরস্কার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুযায়ী, এই পুরস্কার ভাগ হবে টিমের সঙ্গে যুক্ত সকলের মধ্যেই। স্কোয়াডে থাকা ১৫ জন ক্রিকেটার এবং হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় সহ সাপোর্ট স্টাফরাও এই আর্থিক পুরস্কারের অংশ পাবেন। স্কোয়াডে ছিলেন ১৫ জন ক্রিকেটার। এর মধ্যে যশস্বী জয়সওয়াল, সঞ্জু স্যামসন এবং যুজবেন্দ্র চাহাল কোনও ম্যাচেই খেলার সুযোগ পাননি। এই ১৫ জন ক্রিকেটার এবং হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় পাবেন ৫ কোটি করে।
এ ছাড়াও সাপোর্ট স্টাফদের মধ্যে ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর, ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ, বোলিং কোচ পারশ মামরে পাবেন ২.৫ কোটি করে। বোর্ডের দল নির্বাচন কমিটির প্রধান অজিত আগরকর সহ বাকি সদস্যরা পাবেন ১ কোটি করে। এ ছাড়াও যাঁরা অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফ রয়েছেন তাদের জন্য ২ কোটি। এর মধ্যে রয়েছেন ৩ জন করে ফিজিওথেরাপিস্ট ও থ্রো ডাউন স্পেশালিস্ট। এবং স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচও রয়েছেন এই ২ কোটির তালিকায়। বিশ্বকাপের স্ট্যান্ড বাই লিস্টে ছিলেন শুভমন গিল, রিঙ্কু সিং, আবেশ খান এবং খলিল আহমেদ। তাঁরা প্রত্যেকে পাবেন ১ কোটি টাকা করে।