এতদিন ছিল জল্পনা। এখনও যে পুরোপুরি কেটেছে বলা যায় না। তবে জল্পনাই যেন সত্যি! ইঙ্গিত তেমনই। হার্দিক পান্ডিয়া-নাতাশা স্তানকোভিচের সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে নানা সমীকরণ চলছিল। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের শুরু থেকেই মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন হার্দিক। আইপিএলে তাঁর পারফরম্যান্সও ভালো হয়নি। রোহিত শর্মাকে সরিয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তাঁকে ক্যাপ্টেন করেছিল। ক্যাপ্টেন এবং প্লেয়ার দুই ভূমিকাতেই হতাশ করেছেন। বিশ্বকাপ জিতে হার্দিকের মুখে বারবার উঠে এসেছে, গত ‘ছ-মাসের’ হতাশার কথা। ট্রফি জিতে দেশে ফিরে মুম্বইতে ছিলেন হার্দিক। তবে বরোদার বাড়িতে ফিরেছেন সদ্য। এরই মাঝে নাতাশা স্তানকোভিচের দেশে ফেরা যেন বড় ইঙ্গিত। ব্যাগপত্তর গুছিয়ে নাতাশা যে সার্বিয়া চললেন, নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হার্দিকের সুযোগ পাওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। ওয়ান ডে বিশ্বকাপে চোট পেয়েছিলেন হার্দিক। দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে ছিলেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের আগে মুম্বইয়ের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলেন। এরপরই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে পারফরম্যান্সও প্রবল হতাশার ছিল। প্রতি ম্যাচেই গ্যালারি থেকে বিদ্রুপ সইতে হয়েছে হার্দিককে। ব্যক্তিগত জীবনও যে ছন্নছাড়া, হার্দিক এবং তাঁর সার্বিয়ান স্ত্রী নাতাশার নানা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টেই সামনে এসেছে।
বিচ্ছেদের জল্পনা আরও উস্কে দিলেন নাতাশা। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ছবি পোস্ট করেছেন। ব্যাগপত্র গোছানোর প্রক্রিয়া। সঙ্গে লিখেছেন, এটাই সময় দেশে ফেরার। স্বাভাবিক ভাবেই সকলের মধ্যে কৌতুহল বাড়িয়ে দিয়েছে এই পোস্ট। সাম্প্রতিক ঘটনার সিরিজও যেন তাই বলে। অম্বানীদের অনুষ্ঠানে হার্দিককে একা দেখা হিয়েছে। হার্দিক-নাতাশাকে একসঙ্গে দেখা যায়নি। বিশ্বজয়ের পর হার্দিক পান্ডিয়াকে সকলেই শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন। নাতাশা কোনও পোস্ট করেননি। ছেলের সঙ্গে বেশ কিছু ছবিও পোস্ট করেছিলেন হার্দিক। তেমনই নাতাশাকেও দেখা যায় ছেলের সঙ্গে পোস্ট করেছিলেন। কিন্তু একসঙ্গে দেখা যায়নি।