ভারতের ‘প্রাক্তন’ লেগ স্পিনার অমিত মিশ্রর নানা অভিযোগে উত্তাল ভারতীয় ক্রিকেট। ইউটিউবে একটি অনুষ্ঠানে নানা কথা বলেছেন অমিত মিশ্র। সরকারি ভাবে তিনি এখনও অবসর ঘোষণা করেননি। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর যে আর জায়গা হবে না, ভালো করেই জানেন ৪১ বছরের এই লেগ স্পিনার। জাতীয় দলে মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং বিরাট কোহলির নেতৃত্বেই আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের বেশির ভাগ সময় খেলেছেন অমিত মিশ্র। দু-জনের সঙ্গেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়। বিরাট কোহলিকে নিয়ে নানা কথা বলেছিলেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে লখনউ সুপার জায়ান্টস প্লেয়ারদের গালিগালাজ করেছেন বিরাট, এমন অভিযোগও করেছেন অমিত মিশ্র। বিরাটকে নিয়ে এ বার মুখ খুললেন পঞ্জাব কিংসের তরুণ ফিনিশার।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ২০২৩ সালে ধুন্ধুমার হয়েছিল লখনউ বনাম আরসিবি ম্যাচ। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আরসিবির ঘরের মাঠে শেষ বলে জয় ছিনিয়ে নেয় লখনউ সুপার জায়ান্টস। বাঁধনহারা উচ্ছ্বাসে ভেসেছিল লখনউ শিবির। ফিরতি ম্যাচে লখনউয়ের মাঠে জিতেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ম্যাচের পর বিরাটের সঙ্গে লখনউয়ের তৎকালীন মেন্টর গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে বচসাও বাঁধে। গত মরসুমে গম্ভীর কেকেআরের মেন্টর ছিলেন। আরসিবি ম্যাচে এমন কিছু হবে কিনা, সেই আশঙ্কা থাকলেও দু-জনেই স্পোর্টসম্যান স্পিরিট দেখান। বরং গত আইপিএলে দু-জন সামনাসামনি আসায় একটা দাদা-ভাইয়ের সম্পর্কই ফুটে উঠেছিল।
বিরাট কোহলি লখনউ সুপার জায়ান্টস প্লেয়ারদের গালিগালাজ করেছেন, তা অমিত মিশ্রর দাবি। পঞ্জাব কিংসের তরুণ ক্রিকেটার অবশ্য বলছেন, বিরাট কোহলি এমনটা করতেই পারেন না। এক ম্যাচের পর বিরাটের সঙ্গে সাইড লাইনে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল পঞ্জাব কিংসের শশাঙ্ক সিংয়ের। তরুণ ক্রিকেটারদের বিরাট কখনোই নেতিবাচক কিছু বলেন না, এমনটাই জানান। শশাঙ্ক বলছেন, ‘বিরাট দাঁড়িয়েছিল। আমি ওর সামনে। আমরা প্রায় ৪০ মিনিট কথা বলেছি। বুঝতেই পারিনি কী ভাবে এতটা সময় কেটে গিয়েছে।’
শশাঙ্কের সঙ্গে অন্যান্য তরুণ ক্রিকেটারও ছিলেন। বিরাটের সঙ্গে কী কথা হয়েছিল? শশাঙ্ক বলেন, ‘আমরা ক্রিকেট, টেকনিক, মানসিক শক্তি এমন নানা বিষয়ে কথা বলেছি। আর ও যে ভাবে একের পর এক সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিল, মনে হচ্ছিল, বিরাট যেন আমার রাজ্য দলেরই কোনও সতীর্থ। ও খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ। আমাকে বুঝিয়েছে, অনেক বিষয়ে সাহায্য করেছে। ওর সঙ্গে কথা বলে দুর্দান্ত অনুভূতি হয়েছিল। নিজের খেলার ভিডিয়ো দেখে কী ভাবে নিজের ভুল শোধরাতে হয়, সেটাও বুঝিয়েছিল। ওর সঙ্গে কথা বলার পর একটা উপলব্ধি করেছিলাম, ও কখনও নেগেটিভ কথা বলতেই পারে না। ও সব সময়ই ইতিবাচক কিছু বলে।’