‘হ্যাঁ, আমরা আলাদা হচ্ছি ‘, রাত বাড়তেই হার্দিকের বোমা! ওদিকে নাতাশা…


এমনটা যে হবে সে গুঞ্জন এত দিন ঘুরে বেড়াচ্ছিল বাইশ গজ আর সিনেপাড়ার অন্দরে। তবে অফিসিয়াল বিবৃতি না আসার কারণে এই নিয়ে জোর গলায় কেউই কিছু বলতে পারছিলেন না। অবশেষে জল্পনার ইতি। বৃহস্পতিবার রাত গভীর হতেই ভারতীয় ক্রিকেট তারকা হার্দিক পান্ডিয়া স্বীকার করেই নাতাশার সঙ্গে ঘর ভাঙছে তাঁর।

ইনস্টাগ্রামে একটি বিবৃতি পোস্ট করেছেন তিনি। লিখেছেন, “চার বছর একসঙ্গে থাকার পর আমি ও নাতাশা (স্তানকোভিচ) আলাদা হচ্ছি। আমরা আমাদের সেরাটা দিয়েছিলাম। চেষ্টা করেছিলাম এই সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখার। পারিনি। তাই যা হয়েছে সেটাই আমাদের জন্য ভাল। আমাদের জন্য এটি ছিল একটি কঠিন সিদ্ধান্ত। পরিবার বাড়তেই যে সম্মান, ভালবাসা নিয়ে বেড়ে উঠছিলাম সেই সব মাথায় রেখে এই কাজ মোটেও সহজ ছিল না।”

এখানেই থামেননি তিনি। হার্দিক আরও লেখেন, “আমাদের ছেলে অগস্ত্য আমাদের জীবনে খুবই স্পেশ্যাল। ওকে পেয়ে আমরা ধন্য। তাই দু’জনে মিলেই ওর প্রতিপালন করব। ওর খুশির জন্য যা দরকার সবটাই দেব এই কঠিন সময়ে সবার কাছে একটাই অনুরোধ কিছু জিনিস ব্যক্তিগত রাহতে দিন। ধন্যবাদান্তে, হার্দিক ও নাতাশা।” ওদিকে নাতাশাও শেয়ার করেছেন ওই একই পোস্ট। তবে কমেন্ট বক্স বন্ধ রেখেছেন তিনি। কোনওরকম ইতিবাচক বা নেতিবাচক মন্তব্যকে এই মুহূর্তে গুরুত্ব দিতে নারাজ তিনি। বুঝিয়ে দিয়েছেন অস্ফুটেই।

বিগত আইপিএলে হার্দিকের খারাপ পারফরম্যান্স, নাতাশার মাঠে না আসা– ইত্যাদি নানা কারণেই প্রথম বিচ্ছেদের গুঞ্জন ওঠে। সে সময় ওঁরা ছিলেন চুপ। অনেকেই মনে করেছিলেন হার্দিকের খারাপ পারফরম্যান্স থেকে নজর ঘোরাতেই পাব্লিসিটি স্টান্ট হিসেবে বিচ্ছেদের খবর রটাচ্ছেন ওঁরা নিজেই। তবে টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের জয়লাভ, হার্দিকের নজরকাড়া পারফরম্যান্সের পরেও যখন নাতাশা চুপ ছিলেন তখন খবরটি যে নেহাত রটনা নয়, তা একপ্রকার বিশ্বাসই করে নেন সকলে। তবু আশা ছিল ভক্তদের মনে। ওদিকে ওরা মুখ খুলছিলেন না। সম্প্রতি অম্বানির বিয়েতে একাই হাজির হয়েছিলেন হার্দিক। নাতাশাকে কোথাও দেখা যায়নি। গত মঙ্গলবার নাতাশা এক পোস্টের মাধ্যমে জানান তিনি ভারত ছাড়ছেন, যাচ্ছেন নিজের দেশ সার্বিয়াতে। বিচ্ছেদের গুঞ্জন আরও জোরাল হয়। এ সবের মধ্যেই অবশেষে হার্দিক ও নাতাশার পোস্ট। ফ্যানেদের মন খারাপ। ‘কী এমন ঘটল যে চার বছরের মধ্যেই বিচ্ছেদ?” — প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। ওদিকে হার্দিক-নাতাশা চাইছেন খানিক ‘প্রাইভেসি’।



Leave a Reply