কলকাতা: পরিশ্রমের বিকল্প নেই। কঠোর পরিশ্রমের ফল একদিন না একদিন মেলে। পরিশ্রমই সাফল্যের মূল মন্ত্র, এই তত্ত্বে বিশ্বাসী ভারতের নতুন হেড কোচ গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। তাঁর সংস্পর্শে আসা বহু তরুণ ক্রিকেটারকে এই মন্ত্রই দিয়েছেন গৌতি। এ বছর গৌতম ছিলেন কেকেআরের মেন্টর। নাইটরা গম্ভীরের মস্তিস্ক কাজে লাগিয়ে তৃতীয় আইপিএল ট্রফি কেকেআরে এনেছে। কেকেআরের ক্রিকেটারদের উদ্বুদ্ধ করতে কোনও কসুর ছাড়েননি গম্ভীর। এ বার তিনি ভারতীয় টিমের হেড কোচের দায়িত্ব পালন করতে চলেছেন। গম্ভীরকে নিয়ে একাধিক ক্রিকেটার তাঁদের মনোভাব জানিয়েছেন। এ বার কেকেআরের পেসার হর্ষিত রানা (Harshit Rana) জানালেন, তাঁর ক্রিকেট জীবনে গৌতমের অবদান ঠিক কতটা।
বছর ২২ এর হর্ষিত রানা এই প্রথম বার ওডিআই টিমে ডাক পেয়েছেন। শ্রীলঙ্কা সফরে বিরাট-রোহিতদের সঙ্গে দেখা যাবে হর্ষিতকে। এই তরুণ ক্রিকেটার প্রথম বার জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার পর সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তাঁর অনুভূতির কথা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তাঁকে আত্মবিশ্বাস জোগানো গৌতম গম্ভীরের কথা বলতে ভোলেননি।
এ বছরের আইপিএলে কেকেআরের হয়ে ভালো পারফর্ম করেছিলেন হর্ষিত রানা। তিনি টুর্নামেন্টে ১৯টি উইকেট নিয়েছিলেন। গৌতমের ছত্রছায়ায় নিজেকে মেলে ধরেছিলেন হর্ষিত। তিনি বলেন, ‘কঠোর পরিশ্রমে আমি বিশ্বাসী। আমার ক্রিকেট সফরে তিন জনের নাম করতেই হবে। তাঁরা হলেন, আমার বাবা, ব্যক্তিগত কোচ অমিত ভান্ডারি স্যার (প্রাক্তন ভারত ও দিল্লির পেসার) এবং সবার উপরে রাখতে হবে গৌতি ভাইয়াকে।’
সেখানেই থেমে থাকেননি রানা। তাঁর কথায়, “খেলার প্রতি আমার দৃষ্টি ভঙ্গি পরিবর্তনের নেপথ্যে বড় ভূমিকা রয়েছে গৌতি ভাইয়ের। কেকেআরের ড্রেসিংরুমে তিনি আমার মানসিকতাই বদলে দিয়েছিলেন। শীর্ষস্তরে খেলতে হলে প্রতিভা প্রয়োজন। কিন্তু তার থেকেও বেশি প্রয়োজন চাপ সামলাতে পারা। গৌতি ভাই সব সময় আমাকে বলতেন, ‘তোর উপর আমার বিশ্বাস আছে। তুই ম্যাচ জিতিয়ে আসবি।’ গৌতি ভাই বার বার বলত, নিজের ভয়ের মোকাবিলা করতে হবে। তা হলেই ভয়কে জয় করা যাবে। প্রতিটা দিন নতুন, প্রতিটা ম্যাচ নতুন। এটা ভেবেই অনুশীলন করা উচিত।”