গল্প নাকি ছোটগল্প? না হয়েও হইল না শেষ? প্রমাণ পেলেন ভক্তরা। আর পেতেই উচ্ছ্বাস আর যেন ধরছেন তা তাঁদের। কী হয়েছে? ঘটনাটা তবে খুলেই বলা যাক। গতকাল অর্থাৎ ১৮ জুলাই এক যৌথ বিবৃতির মধ্যে দিয়ে হার্দিক পান্ডিয়া ও নাতাশা স্তাতনকোভিচ জানিয়েছেন বিয়ে ভাঙছে তাঁদের। এক বড়সড় পোস্টও করেছেন। কেন ভাঙছে, সন্তান কার কাছে থাকবে– সে খবরও জানিয়েছেন বিস্তারিত। তবে এ সবের মধ্যেই যেন এক টুকরো আশার আলো। ভক্তরা আবিষ্কার করেছেন, বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও এই প্রাক্তন জুটিকে বেঁধে রেখেছেন সামাজিক মাধ্যম, বিশেষত ইনস্টাগ্রাম।
ট্রেন্ড বলছে, ঝামেলা হলে প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রী প্রথম দিকের যে কাজগুলি করে থাকেন তার মধ্যে একটি হল ইনস্টাগ্রামে একে অপরকে আনফলো করে দেওয়া। সে বা তাঁর জীবন সম্পর্কিত কিছুই আর আসবে না অপর ব্যক্তির কাছে– ভাব খানিক তেমনটাই। তবে না, হার্দিক বা নাতাশার ক্ষেত্রে কিন্তু এমনটা দেখা যায়নি। বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও আজও ইনস্টাগ্রামে একে অপরকে অনুসরণ করেন তাঁরা। এমনকি খুঁজলে দেখা মেলে বিয়ের ছবি। সম্পর্ক ভাঙলেও তা যে বিষিয়ে যায়নি, সেই প্রমাণ পেয়েই স্বস্তিতে ভক্তকুল।
গতকাল এই যৌথ বিবৃতিতে ওঁরা লেখেন, “চার বছর একসঙ্গে থাকার পর আমি ও নাতাশা (স্তানকোভিচ) আলাদা হচ্ছি। আমরা আমাদের সেরাটা দিয়েছিলাম। চেষ্টা করেছিলাম এই সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখার। পারিনি। তাই যা হয়েছে সেটাই আমাদের জন্য ভাল। আমাদের জন্য এটি ছিল একটি কঠিন সিদ্ধান্ত। পরিবার বাড়তেই যে সম্মান, ভালবাসা নিয়ে বেড়ে উঠছিলাম সেই সব মাথায় রেখে এই কাজ মোটেও সহজ ছিল না।” এখানেই থামেননি ওঁরা। আরও লেখেন, “আমাদের ছেলে অগস্ত্য আমাদের জীবনে খুবই স্পেশ্যাল। ওকে পেয়ে আমরা ধন্য। তাই দু’জনে মিলেই ওর প্রতিপালন করব। ওর খুশির জন্য যা দরকার সবটাই দেব এই কঠিন সময়ে সবার কাছে একটাই অনুরোধ কিছু জিনিস ব্যক্তিগত রাহতে দিন। ধন্যবাদান্তে, হার্দিক ও নাতাশা।” এই মুহূর্তে ছেলেকে নিয়ে নিজের দেশ সার্বিয়াতে রয়েছেন নাতাশা। ওদিকে হার্দিক আপাতত নিজের দেশেই রয়েছেন।