২০ তলা থেকে ঝাঁপ… মহম্মদ সামির জীবনের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস


Mohammed Shami: ২০তলা থেকে ঝাঁপ… মহম্মদ সামির জীবনের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁসImage Credit source: X

কলকাতা: মহম্মদ সামি (Mohammed Shami) ২২ গজে বল হাতে দাপট দেখাচ্ছেন। এ দৃশ্য ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের বেশ চেনা। সামি প্রায়শই চর্চায় থাকেন। তবে শুধু তাঁর ক্রিকেট জীবন নিয়েই চর্চা হয় না। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও নানা গুঞ্জন শোনা যায়। হাসিন জাহানের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়েছে। একমাত্র মেয়ে আইরার সঙ্গে এখন সামি দেখাও করতে পারেন না। এক সময় কেরিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব ঘেটে ছিলেন ভারতীয় তারকা। ২০১৮ সালে সামির বিরুদ্ধে হাসিন গার্হস্থ্য হিংসার মামলা করেন। এরপর ডিভোর্সের মামলাও করেন। সামির খারাপ সময়ের সেই শুরু। তারপর ২০২১ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগও ওঠে। ভেতর থেকে নানা যন্ত্রণা তাঁকে কুরে কুরে খাচ্ছিল। এমন সময় আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন সামি।

সম্প্রতি মহম্মদ সামির এক বন্ধু তাঁর জীবনের অন্যতম চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছেন। একটা মানুষ কখন আত্মহত্যার পথে হাঁটার কথা ভাবতে পারেন? জীবনের সব জটিলতা যখন সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়, ক্রমশ আলো থেকে অন্ধকারে কেউ চলে যায়, সেই সময় এমন ভাবনা আসার কথা। সামির সঙ্গেও যেন ঠিক এমনটাই হয়েছিল। ২০২১ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামি ভালো পারফর্ম করতে পারেননি। এরপর ভারতীয় বোলারের ধর্ম টেনে খোঁচা দেওয়া থেকে শুরু করে তাঁর সম্পর্কে খারাপ কথা বলতে ছাড়েননি সমালোচকরা।

সামির নামে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ উঠতেই আর তিনি ঠিক থাকতে পারেননি। তাঁর এক বন্ধু উমেশ কুমার সেই সময়ের কথা সম্প্রতি এক পডকাস্টে তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, “ওই সময় সব কিছুর সঙ্গেই লড়াই করছিল সামি। তখন ও আমার সঙ্গে আমার বাড়িতে থাকত। যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগের খবর সামনে আসে, সেই সময় ও খুব ভেঙে পড়েছিল। ও তখন বলেছিল, ‘আমি সব কিছু সহ্য করতে পারি। কিন্তু দেশদ্রোহিতার অভিযোগ মানতে পারব না।’

এরপরই সামির বন্ধু জানান, একদিন ভোরবেলায় তিনি উঠে দেখেন, ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সামি। চেষ্টা করছিলেন আত্মহত্যার। ভারতীয় জোরে বোলারের বন্ধুর কথায়, ‘খবরে তো এও বলা হয়েছিল যে, ওই রাতে সামি নিজের জীবন শেষ করতে চেয়েছিল। তখন গড়ির কাঁটায় বাজে ভোর ৪টে। আমি জল খাওয়ার জন্য রান্নাঘরের দিকে যাচ্ছিলাম। সেই সময় দেখি ও ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমরা ২০তলায় থাকতাম। আমি বুঝতে পারছিলাম কী হচ্ছে। ওই রাতটা সামির জীবনের সবচেয়ে বড় রাত। এরপর আমরা দু’জন যখন কথা বলছিলাম, এমন একটা সময় ওর ফোনে তদন্তকারীর এক মেসেজ আসে। কমিটি ওকে ক্লিনচিট দেয়। সেদিন যে খুশি হয়েছিল ও, তা হয়তো বিশ্বকাপ জিতলেও সেই আনন্দ পেত না।’

কঠিন সময় পেরিয়ে আলোয় ফিরেছেন সামি। গত বছর তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে। এখন তিনি বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রিহ্যাব পর্ব কাটাচ্ছেন। তাঁর লক্ষ্য বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টিম ইন্ডিয়ার পরবর্তী টেস্ট সিরিজে টিমে ফেরা।

Leave a Reply