নাবালিকাকে ধর্ষণে জেল, অলিম্পিকে ‘ডাচ টাচ’ নিয়ে আতঙ্ক!


প্যারিস: বাধা, বিপর্যয়, বিতর্ক তিন যেন হাত ধরে হাঁটছে প্যারিস অলিম্পিকের। আচমকা হানায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল ফ্রান্সের রেল পরিবহন ব্যবস্থা। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে না দাঁড়াতে বৃষ্টি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্কেটবোর্ডিং ইভেন্ট পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে দু’দিনের জন্য। টেনিসও থমকে বৃষ্টিতে। তারই মধ্যে আবার নতুন বিতর্ক দেখা দিল প্যারিস অলিম্পিকে। ধর্ষণের দায়ে হাজত বাস করা এক অ্যাথলিটকে অলিম্পিকে নামার আনুমতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। আর তাতেই ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন অনেকে। বলা হচ্ছে, আইওসির এই সিদ্ধান্ত আসলে মহিলাদের ভাবাবেগে প্রচন্ড আঘাত। পরিস্থিতি সামাল দিতে কী করল আইওসি?

স্টিভেন ভ্যান ডার ভেল্ডে নেদারল্যান্ডসের ভলিবল প্লেয়ার। ২০১৪ সালে যখন ১৯ বছর বয়স তাঁর, ১২ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। আদালতে তাঁর অভিযোগও প্রমাণিত হয়। ব্রিটেনের চার বছর তার জন্য জেলও খেটেছেন। জেল থেকে বেরিয়ে ভেল্ডে নিজের দেশ নেদারল্যান্ডসে ফেরেন। সেই দেশের নিয়ম অনুযায়ী বাকি সাজা ভোগ করেছেন। ২০১৭ সাল থেকেই ভলিবল খেলছেন ভেল্ডে। জাতীয় টিমেও সুযোগ পেয়ে যান। তখন থেকেই খেলে চলেছেন ডাচ টিমের হয়ে। এ বার অলিম্পিকেও তিনি নামছেন। ভেল্ডের অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করা নিয়ে তীব্র বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

অলিম্পিক কমিটির মুখপাত্র মার্ক অ্যাডামস বলেছেন, ‘ব্যাপারটাকে এ ভাবে নিলে ভুলই হবে। আমরা এর আগেই ব্যাপারটা পরিষ্কার করে দিয়েছি, ১০ বছর আগে ঘটেছিল ঘটনাটা। তার পর রিহ্যাবও করেছে। অতীত থেকে ফিরেও এসেছে ওই অ্যাথলিট। ডাচ অলিম্পিক কমিটির সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করার পরই ওকে অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে সম্মতি দেওয়া হয়েছিল।’

ভেল্ডেকে অলিম্পিকে নামার আগে অনেকগুলো শর্ত আরোপ করা হয়েছে। গেমস ভিলেজে থাকতে পারবেন না তিনি। মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলা যাবে না। নেদারল্যান্ডসের জাতীয় টিমে ভেল্ডেকে সুযোগ দেওয়া নিয়ে তাতেও বিতর্ক থামছে না। মহিলা মহল এবং ক্রীড়াবধিকার গ্রুপগুলো এ নিয়ে সোচ্চার হয়েছে। তাদের দাবি, এর ফলে সমাজের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে।

Leave a Reply