ভুলে যাওয়ার মতো রাত! সঞ্জু স্যামসনের কাছে হয়তো তাই। ভারতীয় দলে তাঁর পরিস্থিতি বোঝা কঠিন। আসা-যাওয়া-আসা। তিনি নিজেও জানেন না কবে সুযোগ পাবেন, আবার বাদ পড়বেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ওয়ান ডে-তে সুযোগ পেয়েছিলেন। হঠাৎই তাঁকে বিশ্বকাপে সুযোগ দেওয়া হয়। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জেরেই যে এই সুযোগ, বুঝতে অসুবিধা হয় না। যদিও টুর্নামেন্টে এক ম্যাচেও খেলানো হয়নি। জিম্বাবোয়ে সফরে প্রথম দু-ম্যাচে ছিলেন না। শেষ তিন ম্যাচের মধ্যে একটি হাফসেঞ্চুরি। গৌতম গম্ভীর কোচ হওয়ার পর টি-টোয়েন্টিতে জায়গা ধরে রাখেন। কিন্তু…!
শ্রীলঙ্কা সফরে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ পাননি সঞ্জু। শুভমন গিলের চোট থাকায় দ্বিতীয় ম্যাচে খেলানো হয় সঞ্জুকে। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে গোল্ডেন ডাক। একাদশে ঋষভ পন্থ থাকায় তিনিই কিপিং করেন। সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে ঋষভকে বিশ্রাম দেওয়া হয়। সঞ্জু স্যামসনের কাছে দুর্দান্ত সুযোগ ব্যাটিং-কিপিং দুই বিভাগেই নজর কাড়ার। যদিও রাতটা যেন ভুলে যাওয়ার মতোই হয়ে দাঁড়াল।
ব্যাটিং অর্ডারে তিনে নামানো হয়েছিল সঞ্জুকে। সময় নিয়ে ইনিংস গড়ার সুযোগ ছিল। যদিও চার বলে রানের খাতা খুলতে পারেননি। শূন্য রানে ফেরেন। টানা দু-ম্যাচে শূন্য। আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছিলেন বলাই যায়। তার ছাপ পড়ল কিপিংয়ে। পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভার। মহম্মদ সিরাজের পঞ্চম ডেলিভারি। কুশল মেন্ডিসের আউট সাইড এজ। উইকেটের পিছনে রেগুলেশন ক্যাচ। সঞ্জু বল অবধি পৌঁছলেনও। যদিও গ্লাভসে ধরে রাখতে ব্যর্থ। দৌড়ে আসেন ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদব। পিঠে ভরসার হাত রাখেন।
ক্যাপ্টেনের ভরসাতেও যে সঞ্জুর আত্মবিশ্বাসে উন্নতি হয়নি, পরের ওভারেই পরিষ্কার। রবি বিষ্ণোইয়ের বোলিংয়ে লেগসাইডে আরও একটি ক্যাচ মিস। এ বারও কুশল মেন্ডিসেরই ক্যাচ। শুধু তাই নয়, বিষ্ণোইয়ের একটি ডেলিভারি হঠাৎ বাউন্সে বল সঞ্জুর হেলমেটেও লাগে। সময় মতো উঠতে পারলে, বল তিনি গ্লাভসেই কালেক্ট করতে পারতেন। অতীত মিসের কথা ভাবতে গিয়েই কি এমন পরিস্থিতি? হতেই পারে।