আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছে সেই ২০১৫ সালে। দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন মাত্র ৩০টি! এর মধ্যে ২৬ ইনিংসে তাঁর রান ৪৪৪। সর্বাধিক স্কোর ৭৭। ব্যাটিং গড় ২০-এরও কম। স্ট্রাইকরেট ১৩১। হাফসেঞ্চুরি দুটি। ২০১৫ সালে অভিষেক হওয়া ক্রিকেটার এত দিনে মাত্র ৩০ ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন! সঞ্জু স্যামসনের ক্ষেত্রে পরিস্থিতিটা এমনই। সুযোগ না পেলে তাঁকে নিয়ে অনেক কথা হয়। কিন্তু সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে না পারায় তাঁর কেরিয়ার ব্যাকফুটেই থেকে গিয়েছে। অথচ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দেশের অন্যতম সেরা কিপার ব্যাটার সঞ্জু স্যামসন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ সহ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁর পরিসংখ্যান তাই বলে। এই ফরম্যাটে ২৭৮ ম্যাচে ৬৭৯১ রান। সর্বাধিক স্কোর ১১৯। গড় প্রায় ৩০। স্ট্রাইকরেট প্রায় ১৩৫। তিনটি সেঞ্চুরি, ৪৬টি হাফসেঞ্চুরি। চোখ ধাঁধানো পরিসংখ্যানই। কিন্তু দেশের জার্সিতে কেন এমন হয়!
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে সুযোগ পেলেও এক ম্যাচেও খেলানো হয়নি সঞ্জু স্যামসনকে। এরপর জিম্বাবোয়ে সিরিজে গিয়েছিলেন সঞ্জু। তিন ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন। প্রথম ম্যাচে (সিরিজের তৃতীয়) অপরাজিত ১২, পরের ম্যাচে ব্যাটিং পাননি, শেষ ম্যাচে ৫৮। গৌতম গম্ভীর ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার পর স্কোয়াডে নানা বদলও হয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে জায়গা ধরে রেখেছেন সঞ্জু। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে সুযোগ পাননি। দ্বিতীয় ম্যাচে গোল্ডেন ডাক, সিরিজের শেষ ম্যাচে ৪ বলে শূন্য। এই সিরিজে সব মিলিয়ে জোড়া ডাক, তিনটি ক্যাচ মিস।
শ্রীলঙ্কা সফর শেষে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ রয়েছে ভারতের। তবে শ্রীলঙ্কা সফরে এমন পারফরম্যান্সের সঞ্জু স্যামসন আদৌ জায়গা ধরে রাখতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে ধ্রুব জুরেল, জীতেশ শর্মার মতো কিপারও লাইনে রয়েছেন। জীতেশ এর আগে জাতীয় দলের হয়ে খেলেওছেন। ধ্রুব জুরেল টেস্টে নজর কাড়ার পর জিম্বাবোয়েতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অভিষেক করেন। ফলে সঞ্জুর রাস্তা যেন ক্রমশ কঠিন হচ্ছে।