প্যারিসে ইতিমধ্যেই জোড়া পদক, মনু ভাকেরের এই তথ্যগুলি জানেন?


ভারতীয় ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে গর্বের নাম হয়ে উঠেছে মনু ভাকের। প্যারিস অলিম্পিকে পদকের খাতা খুলেছেন ২২-এর এই তরুণী। শুধু তাই নয়, ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ব্যক্তিগত ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পদকে ইতিহাসও গড়েছেন। দীর্ঘ ১২ বছর পর অলিম্পিকের মঞ্চে শুটিংয়ে পদক এসেছে ভারতের ঝুলিতে। ভারতের প্রথম মহিলা শুটার হিসেবে অলিম্পিক পদকের ইতিহাস গড়েছেন। এখানেই শেষ নয়, স্বাধীন ভারতের প্রথম অ্যাথলিট হিসেবে অলিম্পিকের এক সংস্করণে জোড়া পদকের নজিরও গড়েছেন। ব্যক্তিগত ইভেন্টে ব্রোঞ্জের পর সরবজ্যোতের সঙ্গে মিক্সড টিম ইভেন্টেও ব্রোঞ্জ। শুটিং কিন্তু মনু ভাকেরের প্রথম পছন্দ ছিল না। বেশ কিছু স্পোর্টসেই অংশ নিয়েছেন। এরপর বেছে নেন শুটিং। রইল ইতিহাস গড় মনু সম্পর্কে নানা তথ্য।

মনু ভাকের হরিয়ানার। ২২-এর এই তরুণী রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স স্নাতক। লেডি শ্রী রাম কলেজে পড়াশোনা করেছেন। শুধু তাই নয়, বর্তমানে পঞ্জাব ইউনিভার্সিটি থেকে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে পড়ছেন। স্কুল লাইফে টেনিস, স্কেটিং বক্সিংয়ে নিয়মিত অংশ নিয়েছেন। শুধু তাই নয় জাতীয় স্তরে পদকও জিতেছেন। মার্শাল আর্টেও দক্ষতা রয়েছে মনু ভাকেরের। মার্শাল আর্টের একটি অংশ ‘থাং তা’ শিখেছেন এবং জাতীয় স্তরে পদকও রয়েছে।

এত গুলো স্পোর্টসের পর অবশেষে শুটিংয়ে আগ্রহ। তখন তাঁর বয়স ১৪। মনু সিদ্ধান্ত নেন, শুটিং শুরু করবেন। রিও অলিম্পিক দেখেই সম্ভবত এই স্পোর্টসের প্রতি আগ্রহ বেড়েছিল। বাবাকে জানান সে কথা। মেয়ের কথা ফেলেননি বাবা। তাঁকে দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে স্পোর্টস শুটিং পিস্তল কিনে দেন। গত অলিম্পিক অর্থাৎ টোকিওতে হতাশা নিয়ে ফিরতে হয়েছিল। বন্দুকের সমস্যার জেরেই হতাশা। প্যারিসে সেই মনু ভাকেরই এখনও অবধি ভারতকে দুটো পদক দিয়েছেন। তাঁর আরও ইভেন্ট বাকি রয়েছে। যে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে শুটিং রেঞ্জে নামছেন, তাতে আরও পদক এলে অবাক হওয়ার থাকবে না। বরং গর্বে, উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়বে দেশ।

Leave a Reply