এক যুগ আগেও ভাবা যায়নি, শুটিং, কুস্তি, বক্সিংয়ের বাইরেও অলিম্পিকে পদক ফলানো যায়। প্রথা এবং ভাবনা ভেঙে দিয়েছিলেন সাইনা নেহওয়াল নামের এক মেয়ে। ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিক থেকে ব্রোঞ্জ এনেছিলেন হরিয়ানার মেয়ে। যে স্বপ্ন ছুঁয়েছিলেন তিনি, সেই আরও বড় করে দিয়েছেন পিভি সিন্ধু। পরের দুটো অলিম্পিক থেকে রুপো ও ব্রোঞ্জ এনে। সেই ব্যাডমিন্টনই কি এ বার পদকের খনি হতে চলেছে প্যারিস অলিম্পিকে? পুরো ভারতীয় টিমই দারুণ পারফর্ম করছেন মেগা ইভেন্টে। সিন্ধু হ্যাটট্রিক করতে পারেন। পদকের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে ছেলেদের সিঙ্গলসেও। তার আগেই পদকের নিশ্চিত ঝলক দেখেও কাছে পৌঁছতে পারলেন ভারতের দুই ছেলে সাত্বিকসাইরাজ রানকিরেড্ডি ও চিরাগ শেঠী। মালয়েশিয়ান জুটির কাছে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিল সা-চি জুটি।
টেনিসের লি-হেশ জুটির কথা মনে পড়িয়ে দিচ্ছেন চিরাগ-সাত্বিকরা। লিয়েন্ডার পেজ ও মহেশ ভূপতি টেনিস দুনিয়ার ডাবলস ইভেন্টে শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ব্যাডমিন্টনের পৃথিবীতে তাই করছেন চিরাগ-সাত্বিক। দুরন্ত তালমেল দুই প্লেয়ারের। নেটের মতো থার্ড কোর্টেও সমান সাবলীল দু’জন। দ্রুত কোর্ট কভার করতে পারেন। নেট বলের ক্ষেত্রেও তেমনই সফল। শুধু একটাই দুর্বলতা মাঝে মাঝে বিপাকে ফেলল দুই ভারতীয়, আনফোরসড এরর! আগ্রাসী হতে গিয়ে ভুল করলেন বেশ কিছু ক্ষেত্রে। তাতেই সমস্যায় পড়লেন দুই ভারতীয়. ১-২ গেমে হেরে গেলেন তাঁরা।
মালয়েশিয়া জুটির কাছে এর আগে টানা ৮ বার হেরেছে চিরাগ-সাত্বিক। অ্যারন চিয়া-সো উই জুটি ২০২২ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ওই বছরই টোকিও গেমসে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন তাঁরা। কঠিন ম্যাচ ছিল। ভারতীয় জুটির বিরুদ্ধে এ বারও সেরাটা দেওয়া জন্য তৈরি ছিলেন। প্রথম গেমটায় সা-চি জুটি প্রতিপক্ষকে একবিন্দু জায়গা দেননি। অ্যাঙ্গল বদলে পয়েন্ট চুরি করে নেন তাঁরা। ২১-১৩ পয়েন্ট প্রথম গেমটা জিততে অসুবিধা হয়নি। কিন্তু তার পরই নিজেদের ভুলেই হারিয়ে গেলেন অলিম্পিক থেকে। দ্বিতীয় গেমটা ২১-১৪তে জিতে যায় মালয়েশিয়ান জুটি। প্রতিপক্ষ যখন চাপে, তখন অতিমাত্রায় আগ্রাসী হওয়ার দরকার ছিল না। না হলে তৃতীয় গেম পর্যন্ত খেলা গড়়াত না। গায়ে-গায়ে চলছিল লড়াই। কিন্তু ১৬-১৮ থেকে পর পর তিনটে ভুল করলেন চিরাগ-সাত্বিক। তাতেই সব শেষ। ১৬-২১ এই হেরে ছিটকে গেলেন তাঁরা।