ভিডিয়ো: ২৩০ স্ট্রাইকরেটে ওপেনার অশ্বিনের ৬৯, চোখ ধাঁধানো ক্যাচ; ফাইনালে ড্রাগন


ব্যাটে-বলে ক্যাপ্টেনের মতোই পারফরম্যান্স। ফিল্ডিংয়েও দুর্দান্ত ক্যাচ। কার্যত একার হাতেই দলকে ফাইনালে তুললেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সদ্য ভাইরাল হয়েছিল অ্যাংরি অ্যাশের ভিডিয়ো। তবে আর রাগ নয়। দলকে ফাইনালে তুলে সেই পরিচিত হাসিমুখের অশ্বিনকে পাওয়া গেল। তামিলনাডু প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হয়েছিল রবিচন্দ্রন অশ্বিনের নেতৃত্বাধীন ডিন্ডিগুল ড্রাগন ও সাই কিশোরের তিরুপুর তামিঝানস। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দুর্দান্ত বোলিং-ফিল্ডিং। ৯ উইকেটের বিশাল জয়ে ফাইনালে অশ্বিনের টিম।

তামিলনাডু প্রিমিয়ার লিগে অশ্বিনের টিমে রয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের মিস্ট্রি স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীও। অশ্বিনদের বোলিং দাপটে প্রতিপক্ষ মাত্র ১০৮ রানেই অলআউট। সাই কিশোরের টিমের হয়ে সর্বাধিক স্কোর মান বাফনার। লোয়ার অর্ডারে ১৯ বলে ২৬ রান করেন তিনি। ২ বল বাকি থাকতেই অলআউট। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। বরুণ চক্রবর্তী ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। বাঁ হাতি স্পিনার বিগ্নেশ ৪ ওভারে ৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট।

ফিল্ডিংয়েও দুর্দান্ত ক্যাপ্টেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সন্দীপ ওয়ারিয়েরের বোলিংয়ে মিড অফে দুর্দান্ত একটা ডাইভিং ক্যাচ রবিচন্দ্রন অশ্বিনের। ‘বুড়ো’ অশ্বিনের এই ক্যাচ দেখে অবাক পেসার সন্দীপ ওয়ারিয়ের। ব্যাটারও হা হয়ে যান। তবে অশ্বিনের আর এক দাপট তখনও বাকি।

তামিলনাডু প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে জায়গা করে নিতে ১০৯ রান প্রয়োজন ছিল ডিন্ডিগুল ড্রাগনের। বিমল কুমারের সঙ্গে ওপেনিংয়ে ক্যাপ্টেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। কেরিয়ারের শুরুতে ওপেনারই ছিলেন অশ্বিন। ক্লাব ক্রিকেটে এখনও ওপেন করেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও ওপেন করেছেন। তাঁর ব্যাটিং দক্ষতা অজানা নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও প্রচুর রান করেছেন। তবে এই ম্যাচে যেন আলাদাই মেজাজে ছিলেন।

চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়ামে ডিন্ডিগুলের আর এক ওপেনার ২৭ বলে ২৮ রানে ফেরেন। বাবা ইন্দ্রজিৎ ৮ বলে ৮ রান করেন। পুরোটাই তখন অশ্বিন শো। ৩০ বলে ৬৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। স্ট্রাইকরেট ২৩০! ইনিংসে ১১টি বাউন্ডারি এবং তিনটি ছয় মেরেছেন অশ্বিন।



Leave a Reply