ওডিআই অভিষেকেই তিন উইকেট! রিয়ান পরাগ তবুও যে কারণে খুশি নন…


প্রথম ম্যাচ থেকেই সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু বাস্তবায়িত হচ্ছিল না। অবশেষে তৃতীয় ওয়ান ডে-তে কম্বিনেশন বদল। ওডিআই ক্রিকেটে অভিষেক হল রিয়ান পরাগের। এই প্রথম ওয়ান ডে স্কোয়াডে ডাক পেয়েছিলেন। জিম্বাবোয়ে সফরে প্রথম বার জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন। অসমের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে জাতীয় দলে খেলারও সুযোগ মেলে। জিম্বাবোয়েতে অবশ্য সেই অর্থে নজর কাড়তে পারেননি। শ্রীলঙ্কায় দুই ফরম্যাটেই স্কোয়াডে রাখা হয় তাঁকে। টি-টোয়েন্টিতে নজর কেড়েছিলেন। ওয়ান ডে অভিষেকেও বল হাতে অনবদ্য। পার্টটাইম স্পিনার রিয়ান পরাগ অবশ্য তিন উইকেট নিয়েও খুশি নন।

সিরিজে ১-০ এগিয়ে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ম্যাচ টাই হয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচেও ভারতের মিডল অর্ডার বিপর্যয়। অনবদ্য জয় ছিনিয়ে সিরিজে ১-০ এগিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ভারতের কাছে সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচ। গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল শ্রীলঙ্কার পার্টনারশিপ ভাঙা। সেই কাজটিই করেন রিয়ান পরাগ। ইনিংসের ৩৬তম ওভারে শ্রীলঙ্কার ওপেনার তথা সেট ব্যাটার অভিষ্কা ফার্নান্ডোকে ফেরান রিয়ান পরাগ। সেঞ্চুরি মিস হয় অভিষ্কার (৯৬)। কয়েক বলের ব্যবধানে শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের উইকেটও রিয়ানের ঝুলিতে। ইনিংসের ৪৪তম ওভারে ফেরান দুনিথ ওয়েলালাগেকে ফেরান।

সব মিলিয়ে ৯ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে তিন উইকেট। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ম্যাচে সবচেয়ে বেশি উইকেট তাঁর ঝুলিতেই। রিয়ান অবশ্য ইনিংস ব্রেকে বলেন, এই পারফরম্যান্সে খুশি নন। হতাশার কারণও ব্যাখ্যা করেন এই তরুণ তুর্কি। রিয়ান বলেন, ‘একটু হতাশ। আরও হয়তো ১০-১৫ রান কম দিতে পারতাম। পিচ দেখে সত্যিই চমকে গিয়েছিলাম। প্রথম ২৫ ওভারে পিচ থেকে বোলারদের কোনও সহযোগিতা ছিল বলে মনে করি না। একটা সময় মনে হয়েছিল ৩০০-র কাছাকাছি পৌঁছে যাবে শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে আমাদের বোলাররা দুর্দান্ত কামব্যাক করেছে।’

দায়িত্ব এ বার ব্যাটারদের হাতে। রিয়ান আশাবাদী, এই পিচে ২৪৯ রান তাড়া করা খুব একটা কঠিন হবে না। ব্যাট হাতে তাঁকেও দায়িত্ব নিতে হবে। যদিও তাঁকে কত নম্বরে ব্যাট করতে হবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত নন। ব্যাটিং পজিশন নিয়ে ভাবতেও নারাজ রিয়ান।



Leave a Reply