ব্যাটেরও ডাক্তার! এ আবার হয় নাকি! টিম ইন্ডিয়ায় কিন্তু একজন ব্যাটের ডাক্তার রয়েছেন। যদিও এখন তিনি খেলেন না। কিংবদন্তি ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর। মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকরের স্ত্রী অঞ্জলী চিকিৎসক, এটা সকলেই জানেন। সচিনও যে ডাক্তার, এটা তাঁর সতীর্থরাই জানেন। ব্যাটের যে কোনও সমস্যাা হলে সচিন রয়েছেন তো! টিম ইন্ডিয়ায় একটা সময় এমনই পরিস্থিতি ছিল। সতীর্থদের কথায় এই প্রসঙ্গ অনেকবারই উঠে এসেছে। সচিনের কাছে যাবতীয় সরঞ্জাম রাখা থাকত। প্রয়োজন পড়লেই কাজে লেগে পড়তেন।
টেস্ট হোক বা ওয়ান ডে। রানের শিখরে সচিন তেন্ডুলকর। তাঁর রেকর্ড আদৌ কেউ ভাঙতে পারবেন কিনা, এ বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। এই রেকর্ড ভাঙা কার্যত অসম্ভব। তেমনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর সেঞ্চুরির রেকর্ডও। একশোটি সেঞ্চুরি রয়েছে সচিনের। এই রেকর্ডও অক্ষত থেকে যাবে দীর্ঘ সময়। ব্যাটিং যেমন প্রিয় ছিল মাস্টার ব্লাস্টারের, তেমনই ব্যাটও। চাইলে নতুন নতুন অনেক ব্যাটই রাখতে পারতেন। কিন্তু যে ব্যাটে ভালো পারফর্ম করছেন, সেই ব্যাট কেউই হাতছাড়া করতে চান না। তাতে হাত সেট হয়ে যায়।
সচিন তেন্ডুলকরের কাছে বেশ কিছু ব্য়াটই থাকত। ম্যাচ এবং প্রতিপক্ষ অনুযায়ী ব্যাট ব্যবহার করতেন। ব্যাটের ওজনও একটা বিষয়। খেলতে গেলে ব্যাট ক্ষতি হবেই। তার জন্যই যাবতীয় সরঞ্জাম সঙ্গে রাখতেন। এমনকি শিরিষ কাগজও। ব্যাট মেরামতি করার জন্য যা যা প্রয়োজন। খেলা শেষে প্রিয় ব্যাট মেরামতিতে লেগে পড়তেন। শুধু তাই নয়, দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও ব্রেকফাস্ট উইথ চ্যাম্পিয়ন অনুষ্ঠানে বলেছিলেন।
সঞ্চালক গৌরব কাপুর অবশ্য শিরিষ কাগজ প্রসঙ্গ আসতেই মজা করে বলেন, ওটা তো…! আসলে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট টিমের স্যান্ডপেপার (শিরিষ কাগজ) গেট আজও প্রাসঙ্গিক। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বলের পালিশ তুলতে শিরিষ কাগজ ব্যবহার করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ক্যামেরন ব্যানক্রফ্ট। সে সময় অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। ভাইস ক্যাপ্টেন ডেভিড ওয়ার্নার। ক্যামেরায় বিষয়টি ধরা পড়তেই দ্রুত ব্যবস্থা নেয় অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড। সচিন শিরিষ কাগজ ব্যবহার করতেন ব্যাটের মেরামতিতে।