কলকাতা: শনিবারই ফেডারেশনের প্লেয়ারস স্ট্যাটাস কমিটির কাছ থেকে এনওসি পেয়ে গিয়েছিলেন। শর্তসাপেক্ষে অন্য ক্লাবে সই করতে পারেন আনোয়ার আলি। ২২ তারিখ আর এক দফার শুনানি। তার আগে যে কোনও ক্লাবে আনোয়ারের সই মানে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। ইস্টবেঙ্গল ঘুঁটি আগেই সাজিয়ে রেখেছিল। এখন শুধু চালার পালা। শনিবার ফেডারেশনের প্লেয়ারস স্ট্যাটাস কমিটির ছাড়পত্র পাওয়ার পরই দিল্লি এফসির কর্তা রঞ্জিত বাজাজ জানিয়ে দেন রবি রাতে আনোয়ারকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় পা রাখছেন তিনি। আর সেই ঘোষণা মুহূর্তের মধ্যে লাল-হলুদ জনতার হৃদয়ে ঢেউ খেলে যায়। আজ সকাল থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। সন্ধে হতেই কলকাতা বিমানবন্দরে ভিড় জমতে শুরু করে। ধীরে ধীরে লাল-হলুদ পতাকা দখল নেয় বিমানবন্দর চত্বর। আবির, তাসা, ঢোল, স্লোগানিংয়ে গমগম কলকাতা বিমানবন্দর। চণ্ডীগড়ের ফ্লাইট কখন কলকাতার মাটি ছোঁয় সেই অপেক্ষায় সমর্থকরা।
৩ নং গেটের বাইরে প্রচুর মানুষের ভিড়। ইস্টবেঙ্গল জনতা তৈরি আনোয়ারকে বরণ করতে। শেষ কবে কোনও দেশিয় ফুটবলারের জন্য এত ভিড় দেখেছে বিমানবন্দর চত্বর? উত্তর খুঁজতে ফিরে যেতে হবে অনেক বছর আগে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীরা ঝুঁকি নেওয়ার চেষ্টা করলেন না। আনোয়ারকে বের করা হল অন্য গেট দিয়ে। পঞ্জাব তনয় অবশ্য ঠিক দেখে নিয়েছেন লাল-হলুদ সমর্থকদের ভিড়। হাত তুলে সমর্থকদের আশ্বস্তও করে ফেলেছেন। দিল্লি এফসির কর্তা রঞ্জিত বাজাজও এসেছেন। আনোয়ারকে লাল-হলুদ উত্তরীয়তে বরণ করে নিলেন ক্লাবের দুই সদস্য। ইস্টবেঙ্গল ফুটবল টিমের সঙ্গে যুক্ত ম্যানেজমেন্টের এক সদস্যও ছিলেন বিমানবন্দরে।
ঠিক এক মাস আগে ১১ জুলাই চণ্ডীগড়ে আনোয়ার আলিকে প্রাথমিক চুক্তিপত্রে সই করিয়ে চমক দেখান ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার আর ফুটবল সচিব সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়। ৭২ ঘণ্টার অপারেশনে আনোয়ার ডিল ফাইনাল করেন দুই লাল-হলুদ কর্তা। এরপর তোলপাড় হয়ে যায় ময়দান। বাইপাস সংলগ্ন এক হোটেলে আছেন আনোয়ার আলি। সোমবার সকালেই হয়তো কাগজপত্রের বাকি কাজ শেষ হয়ে যাবে। কে বলতে পারে, কলকাতা লিগের ইস্টবেঙ্গল-ভবানীপুর ম্যাচের মাঝেই হয়তো দেখা যেতে পারে আনোয়ার চমক!