পাকিস্তানের মাটিতে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় বাংলাদেশের, দ্বিতীয় টেস্টেও পর্যুদস্ত বাবররা


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে পালাবদলের হাওয়া। এবার ক্রিকেট মাঠেও ইতিহাস বদলাল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের মাটিতে এই প্রথম সিরিজ জিতলেন টাইগাররা। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে জয়ের পর দ্বিতীয় টেস্টেও বাবর আজমদের ৬ উইকেটে পর্যুদস্ত করল বাংলাদেশ। যেখানে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ের নায়ক লিটন দাস, সেখানে বল হাতে ম্যাজিক দেখালেন হাসান মাহমুদ-নাহিদ রানা।

প্রথম টেস্টে জিতে থাকায় সিরিজ জয়ের জন্য এই ম্যাচে ড্র করলেও চলত শাকিবদের। কিন্তু সেই দিকে হাঁটলেন না তারা। বরং ৬ উইকেটে জিতে দ্বিতীয় টেস্টও পকেটে পুরে নিল বাংলাদেশ। তার মধ্যে প্রথম দিনের খেলা বৃষ্টির জন্য বাতিল হয়। তাতেও সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে তারা তোলে ২৭৪ রান। সাইম, শান মাসুদ ও সলমন আলি হাফসেঞ্চুরি করলেও বড় ইনিংস কেউই খেলতে পারেনি। মেহেদি হাসানের ৫ ও তাসকিনের ৩ উইকেটের দাপটে থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।

[আরও পড়ুন: সিএবি-র বর্ষসেরা ক্রিকেটার অনুষ্টুপ, জীবনকৃতি সম্মান প্রণবকে]

জবাবে ব্যাট করতে নেমে চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং। ২৬ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন লিটন দাস। তাঁর দুরন্ত ১৩৮ রান বাংলাদেশকে লড়াইয়ের জমি করে দেয়। খুররাম শাহজাদের ৬ উইকেট সত্ত্বেও বাংলাদেশ তোলে ২৬২ রান। ৮ রানের লিড নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ফায়দা  তুলতে পারেনি পাকিস্তান। বরং তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে তাদের ইনিংস। দুই ইনিংসেই ব্যর্থ তারকা ব্যাটার বাবর আজম। হাসানের ৫ উইকেট ও নাহিদের ৪ উইকেটের দাপটে মাত্র ১৭২ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস।

[আরও পড়ুন: ‘এখনই থামব না…’ লক্ষ্য আরও ট্রফি জয়, কোন মন্ত্রে নিজেকে উদ্বুদ্ধ করছেন অধিনায়ক রোহিত?]

জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ১৮৫ রান। এর আগে পাকিস্তানে গিয়ে কখনওই সিরিজ জিততে পারেনি তারা। বিদেশের মাটিতে ২০০৯-এ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর সাফল্য থাকলেও পাকিস্তানকে হারানোর কৃতিত্ব অবশ্যই আলাদা। জাকির হাসান (৪০) ও শাদমান ইসলাম (২৪) ওপেনিং জুটির পর সেই কাজটা করে দিলেন অধিনায়ক শান্ত, মমিনুল হকরা। দ্বিতীয় টেস্ট ৬ উইকেটে জিতে ইতিহাস তৈরি করল বাংলাদেশ।

Leave a Reply