বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার। দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম ভরসা। ক্যাপ্টেন্সিও করেছেন অনেকগুলো বছর। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই নয়, বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার সুবাদে ভিন্ন পরিস্থিতি সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল। প্রতিপক্ষ শিবির তাঁকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা করতে বাধ্য হয়। বাংলাদেশ টিমে সেই সাকিব আল হাসানকেই যেন ‘বোঝা’ লাগছে! বিশেষ করে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে। ক্রিকেট ছাড়ার আগেই রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। ভোটে জিতে সাংসদও হয়েছিলেন। কিন্তু হাসিনা সরকারের পতনের পর সাকিবও প্রাক্তন সাংসদ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা ছিল। নতুন করে ফের তৈরি হয়েছে। রেপুটেশন ফেরাতে তাঁর কাছে যেন চেন্নাই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসটাই শেষ সুযোগ।
পাকিস্তানের মাটিতে অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সাকিবের পারফরম্যান্স প্রশ্ন তুলেছিল। পাকিস্তান সফরে সাকিব দলে জায়গা পাবেন কিনা, তা নিয়েই সন্দেহ ছিল। শেষ অবধি দলে রাখা হয় তাঁকে। প্রথম টেস্টে ব্যাট হাতে অবদান ১৫। বোলিংয়ে ৪ উইকেট নিলেও ২ ইনিংস মিলিয়ে দিয়েছিলেন ১৪৪ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে যথাক্রমে ২ ও অপরাজিত ২১। বোলিংয়ে দু-ইনিংসে মাত্র ১ উইকেট। ভারত সফরের আগে সারের হয়ে কাউন্টিতে ৯ উইকেট নিলেও ব্যাট হাতে নজর কাড়তে পারেননি। ঘরে বাইরে প্রবল প্রত্যাশার চাপে। দলে জায়গা ধরে রাখারও লড়াই।
চেন্নাই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮ ওভারে ৫০ রান দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ব্যাটিংয়ে মজবুত জায়গাও থাকলেও জঘন্য শটে আউট হয়েছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ ওভার বোলিং করানো হয় সাকিবকে। দিয়েছেন ৭৯ রান। দুই ইনিংসে তাঁর ইকোনমি যথাক্রমে ৬.২৫ ও ৬.০৭। স্বাভাবিক ভাবেই বোলিংয়ে অস্বস্তি তাঁকে ঘিরে। একই পিচে ভারতের বাঁ হাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাডেজা প্রথম ইনিংসে ২ উইকেট নিয়েছেন। ইকোনমি মাত্র ২.৩৭।
এই খবরটিও পড়ুন
সাকিবকে ঘিরে যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল, তা বাড়বে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে পুষিয়ে দিতে না পারলে। মন্দ আলোয় তৃতীয় দিনের খেলা তাড়াতাড়িই শেষ হয়। দিনের শেষে ১৪ বলে ৫ রানে ক্রিজে রয়েছেন। পুরনো ভাবমূর্তি ফেরাতে সাকিবের কাছে এটাই যেন শেষ সুযোগ। নয়তো ভারত সফরেই তাঁর কেরিয়ারের শেষ সিরিজও হয়ে যেতে পারে! প্রশ্ন উঠছে, সাকিবের চোট নেই তো! না হলে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৮ ওভার বোলিং কেন করানো হল? সেটা কি শুধুই ইমপ্যাক্ট ফেলতে পারছিলেন না বলেই!