ভারত-বাংলাদেশ দ্বিতীয় তথা সিরিজের শেষ টেস্ট কানপুরে। শুক্রবার শুরু ম্যাচ। আগ্রহের জায়গা বাইশগজ। চেন্নাইতে লাল-মাটির পিচ ছিল। সেখানে বাউন্স বেশি। ঘাস থাকায় পেসারদের জন্যও বাড়তি সুবিধা ছিল। বিশেষ করে প্রথম সেশনে। কানপুরে কালো-মাটির পিচ। এখানে একইরকম বাউন্স প্রত্যাশা না করাই শ্রেয়। বরং বলা যায়, এখানকার পিচে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন। স্বাভাবিক ভাবেই একাদশ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ভাবনায় পড়বে দু-দলই। চেন্নাইতে তিন পেসার, দুই স্পিনারের বোলিং কম্বিনেশন দেখা গিয়েছিল। এখানে দুই পেসার, তিন স্পিনারের কম্বিনেশন হতে পারে। পিচ কিউরেটর অবশ্য আশ্বস্ত করছেন, সকলের জন্যই কিছু না কিছু সুবিধা থাকবে। আর কী বলছেন?
কানপুরে দু-দলই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। প্রথম প্র্যাক্টিসে বিশেষ নজর ছিল বিরাট কোহলির দিকে। তেমনই স্পিনারদের মধ্যে নজরে কুলদীপ যাদব। তিন স্পিনার খেলানো হলে, কুলদীপের সম্ভাবনা বেশি। পিচ নিয়ে কিউরেটর শিব কুমার সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘এখানেও চেন্নাই ম্যাচের অনুভূতি পাওয়া যাবে। পিচ থেকে সকলের জন্যই সহযোগিতা থাকবে। প্রথম দুটো সেশন যথেষ্ট বাউন্স থাকবে। প্রথম দু-দিন ব্যাটারদের জন্য, এরপর স্পিনারদের জন্য সহযোগিতা থাকবে।’
এর থেকেই যেন পরিষ্কার ধারনা করা যায়, বোলিং কম্বিনেশন কী হতে পারে! তিন স্পিনারের কম্বিনেশনই হওয়ার কথা। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট বিশ্রাম দিতে পারে বুমরাকে। কানপুরে পিচ যেমন আলোচনায়, তেমনই উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের একটি সিদ্ধান্তও। পরিবেশ দূষণ রুখতে, গ্রিন ম্যাচের সিদ্ধান্ত। কোনও প্লাস্টিক ব্যবহার করা হবে না। যতটুকু না করলেই নয়, ততটুকুই। এমনটাই জানিয়েছেন স্টেডিয়াম ডিরেক্টর সঞ্জয় কাপুর।