স্টাফ রিপোর্টার : আগে থেকেই ঠিক ছিল বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচ খেলে সেখান থেকেই এসিএল টুর প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে ইরান উড়ে যাবেন বিশাল কাইথরা। কিন্তু শনিবার ইজরায়েলি হামলায় ইরানের মদতপুষ্ট সংগঠন হিজবুল্লার প্রধান হাসান নাসরাল্লার মৃত্যুর খবর আসার পরই সেই পরিকল্পনা বদলে ফেলে মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্ট। এই মুহূর্তে রাজনৈতিক অস্থির হয়ে ওঠা ইরানের আভ্যন্তরীণ অবস্থা ভালো নয়। এমন অশান্ত পরিবেশে কীভাবে দল নিয়ে সেদেশে যাবেন তারা এই মর্মে চিঠি লিখে এএফসির পরামর্শ চাওয়ার পাশাপাশি বেঙ্গালুরু ম্যাচ খেলা পুরো দলটাকেই কলকাতা ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় সবুজ-মেরুন টিম ম্যানেজমেন্ট।
মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের আলোচনায় বারবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ফুটবলারদের নিরাপত্তার বিষয়টি। এই দলে দিমিত্রি পেত্রাতোস, জেমি ম্যাকলারেন, জেসন কামিংস, টম অলড্রেড সহ একঝাঁক বিদেশি ফুটবলার রয়েছেন। এসবের মধ্যেই মোহনবাগান ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, সেখান থেকেও আলাদা করে আশ্বাস দেওয়া হয়নি। সে দেশে গেলে নিজেদের দায়িত্বে যেতে হবে ফুটবলারদের।
শনিবারই ট্রাক্টর এফসির একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং পেজ থেকে পোস্ট হয়েছে, সেখানে লেখা রয়েছে মোহনবাগান অজুহাত দেখিয়ে আসতে চাইছে না। জানা গিয়েছে, ইরানে যাওয়ার জন্য পুরো দলের ভিসা তৈরি হয়ে গিয়েছিল মোহনবাগানের। এমন কি সেদেশে হোটেল বুকিং করাও হয়ে গিয়েছিল। তাই এই অজুহাতের উক্তি কানেই তুলতে চাইছে না মোহনবাগান। এএফসিকে পাঠানো চিঠির উত্তর রবিবার রাত পর্যন্ত এসে পৌঁছায়নি। আপাতত সেই উত্তরের অপেক্ষায় তারা। সোমবার রাতে পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা। এএফসির নিয়ম অনুযায়ী সঠিক কারণ ছাড়া খেলতে না গেলে বড় ধরনের শাস্তি হতে পারে সংশ্লিষ্ঠ দলের। স্বাভাবিকভাবেই ইরানের রাজনৈতিক অস্থিরতার বিষয়টিই এখন এএফসিকে বোঝাতে হবে মোহনবাগানকে। প্রয়োজনে নিউট্রাল ভেন্যুতে ম্যাচটি করা যায় কিনা তার আবেদনও করেছে সবুজ-মেরুন ম্যানেজমেন্ট।