সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত আইপিএলের অন্যতম সেরা আবিষ্কার ময়ঙ্ক যাদব। লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে প্রতি ম্যাচেই গতির ঝড় তুলেছিলেন নতুন পেসার। কিন্তু চোটের কবলে পরে পুরো আইপিএল খেলতে পারেননি। তার পর ফিট হওয়ার জন্য এনসিএ-তে চার মাসের পরিশ্রম। এবং সুস্থ হতেই জাতীয় দলেই ডাক পেলেন ময়ঙ্ক।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজের স্কোয়াডে রয়েছেন দিল্লির তরুণ পেসার। প্রতি ঘণ্টায় ১৫০ কিমি গতিতে বল করা ময়ঙ্ক যাদবের কাছে ছিল মামুলি ব্যাপার। আইপিএলে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ১৫৫.৮ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিতে বল করে তাবড় তাবড় পেসারদেরও চমকে দিয়েছিলেন ময়ঙ্ক। অথচ, তিনি যে এত দ্রুত গতিতে বল করতে পারেন, তা আইপিএলে আসার আগে পর্যন্ত জানতেনই না।
সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ২২ বছরের তরুণ বলেন, “আমি জানতাম না, এত জোরে বল করি। ভেবেছিলাম, এটাই হয়তো সবার পক্ষে স্বাভাবিক গতি। সোনেট ক্লাবে আমার কোচ দেবেন্দ্র শর্মা আর বাকিরাও বলেছিলেন যে আমি ১৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে বল করি। আমি বিশ্বাসই করিনি। ২০২২-এ এলএসজি-তে প্রথম মরশুমে খানিকক্ষণ বল করার পর সাপোর্ট স্টাফ আমাকে বলের গতি আন্দাজ করতে বলেন। আমার মনে হয়েছিল, ১৪০ কিমি হবে। কিন্তু ওরাই আমাকে প্রথম বলেন, আমার প্রতিটা বল ১৪৯-১৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে ছিল।”
এবার সেই গতিতে তিনি ঝড় তুলতে চলেছেন আন্তর্জাতিক মঞ্চে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজে অভিষেকের সমূহ সম্ভাবনা আছে ময়ঙ্কের। ঘটনাচক্রে ভারতীয় দলের কোচ গৌতম গম্ভীর ও বোলিং কোচ মর্নি মর্কেলের সঙ্গে আগেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। লখনউয়ে থাকাকালীন কয়েকমাস গম্ভীরের সঙ্গ পেয়েছিলেন ময়ঙ্ক। তিনি জানান, “গৌতম ভাই আমাকে একবার বলেছিলেন, অনেক প্লেয়ার বহুবার সুযোগ পায় নিজেকে প্রমাণ করার জন্য। আবার অনেকে মাত্র একবারই সুযোগ পায়। সেই কথাটা আমার মনে রয়ে গিয়েছে। উনি ও বিজয় দাহিয়া আমাকে আগেই বলেছিলেন, খুব দ্রুত আমি লখনউয়ের প্রথম দলে সুযোগ পাব। এবছর যখন সেটা পেলাম, তখন সেটাকে কাজে লাগানোর পুরো চেষ্টা করেছি। তবে মর্নি খুব বেশি কথা বলেন না। যদি উনি কিছু দেখেন, তাহলে সেটা বলে দেন। স্ট্র্যাটেজি নিয়েই বেশি কথা বলেন।”
দুজনের পরিকল্পনায় ফের জাতীয় দলে আগুন ছোটাতে তৈরি ময়ঙ্ক। অপেক্ষা শুধু অভিষেকের।