টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে জিতেছিল ভারত। ব্যাট হাতে একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইনিংস জেমাইমার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর এ বার দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচেও জিতল ভারত। কিন্তু চিন্তা থাকল সেই ব্যাটিং নিয়েই। অথচ অনেকেই ভালো স্টার্ট পেয়েছেন। কিন্তু বড় ইনিংস আসেনি। বিশ্বকাপ শুরু ৩ অক্টোবর। ভারতের প্রথম ম্যাচ ৪ অক্টোবর। তার আগে চূড়ান্ত ম্যাচ প্রস্তুতি সেরে নিল ভারতীয় দল। অস্বস্তি থাকলো বলাই যায়।
গত কয়েক বছর ধরেই ভারতের সেট ওপেনিং জুটি। শেফালি ভার্মা এবং স্মৃতি মান্ধানার ডান ও বাঁ হাতি কম্বিনেশন। শেফালির ক্ষেত্রে স্বস্তি, প্রথম বল থেকেই মারতে পারেন। পাওয়ারফুল শট খেলতে পারেন। অস্বস্তি, তাঁর উপর টপ অর্ডার একশো শতাংশ ভরসা করতে পারে না। কোনও ম্যাচে প্রথম বলেও মারার চেষ্টায় আউট হতে পারেন। কিন্তু ক্রিজে থাকলে রান আসবেই। কঠিন ম্যাচে শেফালির ব্যাট স্টার্ট ভালো না হলে চাপ বাড়ে তিনে নামা ব্যাটারের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে যেমন ২ বলে রানের খাতা না খুলেই ফিরলেন।
স্মৃতি মান্ধানা, তিনে নামা হরমনপ্রীত কৌর দু-জনেই শুরুটা ভালো করলেন। কিন্তু স্মৃতি ফেরেন ২২ বলে ২১ রানে, হরমন ১১ বলে ১০। পরের তিন ব্যাটার অর্থাৎ জেমাইমা, রিচা এবং দীপ্তি শর্মা তিনজনই ৩০-এর ঘরে আউট হন। তবে স্ট্রাইক রেট টি-টোয়েন্টি সুলভই ছিল। বিশেষ করে বলতে হয় রিচার কথা। ১৪৪ স্ট্রাইকরেটে ৩৬ করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার মিডিয়াম পেসার আয়োবঙ্গা খাকা একাই নিয়েছেন পাঁচ উইকেট।
এই খবরটিও পড়ুন
ভারতীয় বোলিং অবশ্য সম্মিলিত ভাবে ভালো পারফর্ম করেছে। ১৪৫ রান তাড়ায় নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে মাত্র ১১৬ রান তুলতে পেরেছে তারা। ৯ বোলার ব্যবহার করেছে ভারত। সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স অফস্পিনার দীপ্তি শর্মার। ২ ওভার একটি মেডেন সহ মাত্র ২ রান দিয়ে এক উইকেট। দুটো প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে একটা বিষয় যেন পরিষ্কার, টপ অর্ডার এবং স্পিনাররা ভালো পারফর্ম করতে পারলে ভারত সাফল্য পাবেই।