ভারতের মাটিতে গত ওয়ান ডে বিশ্বকাপের আগে অনেক বড় বড় হুঁশিয়ারি দিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট টিম। শুধু তাই নয়, ভারতের মাটিতে সেরা পারফরম্যান্সেরও অঙ্গীকার করেছিল বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। যদিও ভারতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপে চূড়ান্ত লজ্জার পারফরম্যান্স। ভারতের কাছে বিশ্বকাপে হার নতুন নয়। ওয়ান ডে বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের কাছেও হেরেছিল পাকিস্তান। গ্রুপ লিগেই ছিটকে গিয়েছিলেন বাবর আজমরা। দেশে ফিরেই নেতৃত্ব ছেড়েছিলেন বাবর আজম। সেটাই তাঁর কাছে সঠিক সময় মনে হয়েছিল। আরও এক বার ‘সঠিক সময়ে’ নেতৃত্ব ছাড়লেন!
ওয়ান ডে বিশ্বকাপের পর সাদা-বলের ফরম্যাটে শাহিন আফ্রিদি এবং শাদাব খান অল্প সময়ের জন্য নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তাঁদের উপর ভরসা দেখায়নি। বরং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ফের এক বার বাবর আজমকেই ক্যাপ্টেন্সি ফিরিয়ে দেয়। বাবর ছাড়া দক্ষ ক্যাপ্টেন নেই, এমনটাই মনে হয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম বার বড় মঞ্চে নামা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো টিমের কাছে হেরেছে পাকিস্তান। ভারতের বিরুদ্ধেও হার। যার জেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বেই বিদায় নিয়েছিল পাকিস্তান। চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরও ক্যাপ্টেন থেকে গিয়েছিলেন। অবশেষে দ্বিতীয়বার তাঁর সঠিক সময় মনে হয়েছে ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার।
ব্যাট হাতে চূড়ান্ত ব্যর্থতার পর্ব চলেছিল সাদা বলের ক্রিকেটে। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেও ব্যাটিংয়ে হতাশ করেছেন। প্রথম বার টেস্টে বাংলাদেশের কাছে টেস্ট এবং সিরিজ হারের স্বাদ পেয়েছে পাকিস্তান। ব্যাটিংয়ে পুরোপুরি ফোকাস করতে চান, তাই সাদা বলের দুই ফরম্যাটেই নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা বাবর আজমের। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে বাবর বলেন, ‘পাকিস্তানের নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গত মাসেই টিম ম্যানেজমেন্ট এবং বোর্ডকে এই বিষয়ে জানিয়ে রেখেছিলাম। পাকিস্তান ক্রিকেটকে নেতৃত্ব দেওয়া আমার কাছে গর্বের। তবে এটিই সঠিক সময় নেতৃত্ব ছাড়ার। নিজের ব্যাটিংয়েই পুরোপুরি ফোকাস করতে চাই।’
এই খবরটিও পড়ুন
ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। ৭ অক্টোবর শুরু টেস্ট সিরিজ। এরপর অস্ট্রেলিয়া ও জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সাদা-বলের সিরিজও রয়েছে। আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও রয়েছে। আপাতত ব্যাটিংয়ে উন্নতি করে টিমে জায়গা ধরে রাখাই যেন বড় চ্যালেঞ্জ বাবর আজমের কাছে।