সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সব নিয়ম ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে। দ্রুত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে রিটেনশনের তালিকা জমা দেওয়ার কথা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে আইপিএল নিলামের আগে নতুন জটিলতা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, বিসিসিআই রিটেনশনের যে নিয়ম জানিয়েছে তার মধ্যে একটি নিয়মে আপত্তি জানাচ্ছে একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি।
বোর্ড ঘোষিত নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটা ফ্র্যাঞ্চাইজি সর্বাধিক পাঁচ জন ক্যাপড প্লেয়ারকে ‘রিটেন’ করতে পারবে। সঙ্গে একজন করে আনক্যাপড প্লেয়ার। সেটা ‘রিটেশন’ কিংবা ‘রাইট টু ম্যাচ’ কার্ড (আরটিএম) ব্যবহার করে রাখা যেতে পারে। কিন্তু সরাসরি যদি কোনও ছ’জন ক্রিকেটারকে ‘রিটেন’ (৫ ক্যাপড ও ১ আনক্যাপড) করতে চায়, তা হলে সর্বাধিক খরচ পড়বে ৭৯ কোটি টাকা! ফ্র্যাঞ্চাইজিরা যত বেশি প্লেয়ার ‘রিটেন’ করতে চাইবে, তত কমবে তার ‘আরটিএম’ কার্ড সংখ্যা। ধরা যাক, কোনও একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি ঠিক করল পাঁচ জন প্লেয়ারকে ‘রিটেন’ করবে। সেক্ষেত্রে তার হাতে পড়ে থাকবে একটা ‘আরটিএম’ কার্ড। যদি কেউ চার জন প্লেয়ারকে ‘রিটেন’ করবে বলে ঠিক করে, তা হলে তার হাতে তখন থাকবে দু’টো ‘আরটিএম’ কার্ড। আবার কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি তিন জন প্লেয়ারকে ‘রিটেইন’ করবে ঠিক করে, সে তখন পাবে তিনটে ‘আরটিএম’ কার্ড। সর্বাধিক পাঁচ ক্যাপড প্লেয়ার ও সর্বাধিক দু’জন আনক্যাপড প্লেয়ারকে ‘রিটেন’ করা যাবে।
এতে কোনও সমস্যা নেই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির। এই নিয়ম নিয়ে যা যা আপত্তি ছিল, বা আলোচনার ছিল, সেটা নিয়মাবলি ঘোষণার আগেই মিটিয়ে ফেলেছে দলগুলি। আপত্তির জায়গা হচ্ছে ‘আরটিএম’ কার্ড ব্যাবহারের নতুন নিয়মে। বিসিসিআই জানিয়েছে, কোনও ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে ‘রাইট-টু-ম্যাচ’ প্রয়োগ করার আগে যে দল তাঁর জন্য সর্বোচ্চ দর হেঁকেছে তাকে আর এক বার দর বাড়ানোর সুযোগ দেওয়া হবে। অর্থাৎ ধরা যাক, কেকেআরের কোনও ক্রিকেটারকে অন্য কোনও দল কিনল। কেকেআর সেই ক্রিকেটারকে আরটিএম কার্ড ব্যবহার করে ফেরাতে চাইছে। এক্ষেত্রে যে দল ওই ক্রিকেটারকে কিনেছে সেই দল আরও একবার ক্রিকেটারের দর বাড়ানোর সুযোগ পাবে। সেই দর বাড়ানোর কোনও সীমা নেই। অর্থাৎ কেকেআরের ক্রিকেটারটি হয়তো নিলামে ৬ কোটি দর পাচ্ছিলেন, নাইটরা তাঁকে আরটিএম দেখিয়ে কিনতে চাইলে আরেকবার ওই দলটি সুযোগ পাবে দর বাড়িয়ে দেওয়ার। দেখা গেল সেই দলটি নতুন করে ৯ কোটি দর হাঁকল। সেক্ষেত্রে ওই ক্রিকেটারকে যদি নাইটরা আরটিএম কার্ড দেখিয়ে নিতে চায়, তাদের দিতে হবে ৯ কোটি টাকাই। না নিতে চাইলে যে দল তাঁকে নিলামে পেয়েছিল, তাঁরাই ৯ কোটি টাকাই ক্রিকেটারটিকে কিনে নিতে পারবে।
ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির দাবি, ‘রাইট-টু-ম্যাচ’ কার্ডের উদ্দেশ্য একজন ক্রিকেটারের সঠিক বাজারদর নিশ্চিত করা। কিন্তু একটি দলকে অন্যায্যভাবে দর বাড়ানোর অধিকার দিলে সেই উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। এতে কোনও দল চাইলে ইচ্ছা করে ক্রিকেটারদের দর বাড়িয়ে দিতে পারে। এই নিয়মের প্রতিবাদ করে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে চিঠি দিচ্ছে কয়েকটি দল।