রাহানে ফিরতেই তাসের ঘর মুম্বই, ধরমশালায় চার সেঞ্চুরি!


রঞ্জি ট্রফিতে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মুম্বই। এ বার শুরুটা দুর্দান্ত করাই লক্ষ্য ছিল। বরোদাকে প্রথম ইনিংসে ২৯০ রানে অলআউট করে মুম্বই। প্রথম ইনিংসের নিরিখে মুম্বই অ্যাডভান্টেজই ছিল। শুরুতে পৃথ্বী শ-কে ফিরিয়ে মুম্বই শিবিরে জোরালো ধাক্কা দিয়েছিলেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। ধীরে ধীরে খেলা ঘোরে। কিন্তু অজিঙ্ক রাহানে আউট হতেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের অতি সাধারণ ব্যাটিং পারফরম্যান্স।

হার্দিক তামোরের সঙ্গে দুর্দান্ত জুটি গড়ছিলেন মুম্বই ক্যাপ্টেন অজিঙ্ক রাহানে। তাঁর অভিজ্ঞতা বড় সম্পদ। দলীয় ১৪০ রানে তৃতীয় উইকেট হিসেবে ফেরেন হার্দিক তামোরে। শর্ট লেগে দারুণ ক্যাচ জ্যোৎস্নিল সিংয়ের। এরপরই অস্বস্তির শুরু। রাহানের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন শ্রেয়স আইয়ার। এক ওভারের ব্যবধানে আউট অজিঙ্ক রাহানে। তাঁর ক্ষেত্রে দুর্ভাগ্য। তবে প্রশংসনীয় ক্যাচ। এ বারও জ্যোৎস্নিল। হার্দিকের ক্যাচ নিয়েছিলেন শর্ট লেগে, রাহানের ক্যাচ সিলি পয়েন্টে।

বাঁ হাতি স্পিনার ভার্গব ভাটের শর্ট পিচ ডেলিভারিতে জোরালো শট মেরেছিলেন রাহানে। যে কোনও ক্লোজ-ইন ফিল্ডারই এমন শট খেলতে দেখলে লাফিয়ে আঘাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করেন। জ্যোৎস্নিল বল থেকে চোখ সরাননি। বল তাঁর শরীরে লাগে। কোনওরকমে পায়ের মাঝে আটকে রাহানেকে ফেরান। ১৪০-২ থেকে ২১৪ রানে অলআউট মুম্বই। প্রথম ইনিংসে ৭৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ লিড নেয় বরোদা। এখান থেকে পয়েন্ট নিতে গেলে সরাসরি জয় ছাড়া রাস্তা নেই মুম্বইয়ের।

অন্য ম্যাচে, শিরোনামে ধরমশালা। উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে খেলছে হিমাচল প্রদেশ। হোম গ্রাউন্ডে খেলছে তারা। ওপেনিং জুটিতেই যোগ করে ২০৬ রান! টপ ফোর ব্যাটারের সেঞ্চুরি। এর মধ্যে একটি অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরিও রয়েছে। অবশেষে ৩ উইকেটে ৬৬৩ স্কোরে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে হিমাচল। শুভম অরোরা (১১৮), প্রশান্ত চোপড়া (১৭১), অঙ্কিত কলসি (২০৫ নট আউট) এবং একান্ত সেন (১০১)। জবাবে ১ উইকেটে ৫০ রান তুলেছে উত্তরাখণ্ড।

Leave a Reply