সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সঞ্জু স্যামসনের বিরুদ্ধে বরাবর একটা অভিযোগ ছিল। জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ। এর আগে শ্রীলঙ্কা সফরেও একই ঘটনা ঘটেছে। আর সেখান থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অতিমানবিক সেঞ্চুরি। কীভাবে এই প্রত্যাবর্তন? সঞ্জু কৃতিত্ব দিচ্ছেন কোচ গৌতম গম্ভীর এবং অধিনায়ক সূর্যকুমারকে।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৪৭ বলে ১১১ রান করেছেন সঞ্জু। ভারতের জার্সিতে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি এখন তাঁর নামে। রোহিত শর্মার পরেই। কিন্তু শুকনো তথ্য-পরিসংখ্যানে সঞ্জুর বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের ছবিটা পুরোপুরি তুলে ধরা সম্ভব নয়। অথচ আগের দুটি ম্যাচ রান পাননি। শ্রীলঙ্কা সফরে ছবিটা ছিল আরও খারাপ। দুটো ম্যাচের দুটোতেই শূন্য। কীভাবে বদলে গেল ছবিটা?
সঞ্জু বলছেন, “এখন আমি জানি কীভাবে চাপ নিতে হয়। আমি বহুবার ব্যর্থ হয়েছি। এখন শুধু নিজের কাজে মনোযোগ করি এবং বিশ্বাস করি যে ভালো খেলব। এর কৃতিত্ব ড্রেসিংরুমকে দিতে হয়। যাঁরা নেতৃত্বে আছেন, তাঁদের দিতে হয়। কোচ আর ক্যাপ্টেন আমাকে সমর্থন জানিয়ে গিয়েছেন। শ্রীলঙ্কায় দুটো ম্যাচে শূন্য করার পর, নিজেকে নিয়ে সংশয়ে ভুগছিলাম। আদৌ আমি এই সিরিজে সুযোগ পাব তো? কিন্তু ওঁরা আমার পাশে ছিলেন। সব সময় বলে গেছেন, যাই হয়ে যাক না কেন, আমরা তোমার সঙ্গে আছি। দল হিসেবে এখন আমাদের একটাই লক্ষ্য, প্রতিটা ম্যাচে আধিপত্য দেখানো।”
এই সিরিজের তিনমাস আগেই সঞ্জুকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তিনি ওপেন করবেন। এই পরিকল্পনা ছিল অধিনায়ক সূর্যকুমার, কোচ গৌতম গম্ভীর ও সহকারী কোচ অভিষেক নায়ারের। সঞ্জু জানান, “আমি ভাগ্যবান যে তিন সপ্তাহ আগেই ওঁরা আমাকে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, এই সিরিজে ওপেন করব। সেই জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। আমি রাজস্থান রয়্যালসের অ্যাকাডেমিতে ফিরে যাই। ওখানে নতুন বলে প্র্যাকটিস শুরু করি। সেটা আমাকে অন্য সিরিজগুলোর থেকে ১০ শতাংশ বেশি তৈরি করে দিয়েছিল।” তাঁর আগুনে ব্যাটিং দেখে সোশাল মিডিয়ার বক্তব্য, এবার ‘সঞ্জু স্যামসন ৩.০’ আসছে।
View this post on Instagram