সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা ডার্বি(Kolkata Derby) মানেই সেয়ানে সেয়ানে টক্কর। কেবল মাঠে ৯০ মিনিটের যুদ্ধেই সীমাবদ্ধ নয় এই লড়াই। মাঠের গণ্ডি পেরিয়ে সমর্থকদের রক্তচাপ আরও অনেক বেশি বাড়িয়ে দেওয়ার ম্যাচ। চলতি মরশুমে প্রথমবার ডার্বি খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। মহাম্যাচের আগে দুই শিবিরের ছবিটা অবশ্য় একেবারে আলাদা। একটা দল পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে। অন্য দল পড়ে রয়েছে সবার শেষে। মহারণের আগে একনজরে দুই দলের শক্তি-দুর্বলতা।
চলতি আইএসএলে এখনও পর্যন্ত ধারাবাহিকতা দেখা যায়নি মোহনবাগানের পারফরম্যান্সে। প্রথম তিন ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। তবে শেষ ম্যাচে মহামেডানকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছেন জেমি ম্যাকলারেনরা। এই জয়ের আত্মবিশ্বাস নিঃসন্দেহে ডার্বিতে অনেকখানি এগিয়ে রাখবে মোহনবাগানকে। এছাড়াও দলে রয়েছেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট, জেসন কামিংসের মতো ম্যাচ উইনাররা। মোহনবাগানকে অনেকখানি এগিয়ে রাখবে তেকাঠির নিচে কাইথের ‘বিশাল’ হাত। চলতি মরশুমে একের পর এক অনবদ্য সেভ করতে দেখা গিয়েছে বাগানের শেষ প্রহরীকে। তবে দুর্বলতাও রয়েছে সবুজ-মেরুন শিবিরে। লিস্টন কোলাসো এবং মনবীর সিং এখনও জ্বলে উঠতে পারেননি। ফলে আক্রমণের সুযোগ তৈরি করতে পারছে না মোহনবাগান। এছাড়াও ডার্বিতে মোহনবাগানকে ভোগাতে পারে রক্ষণের ফাঁকফোকর।
অন্যদিকে টানা চার ম্যাচ হেরে ইস্টবেঙ্গলের আত্মবিশ্বাস তলানিতে। ডার্বি জেতা সম্ভব, এটা বিশ্বাসই করতে চাইছেন না ভক্তদের একাংশ। তার মধ্যেই কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ বিনো জর্জের কোচিংয়েও একটা ম্যাচ হারতে হয়েছে। আবার শোনা যাচ্ছে ডার্বিতে কোচিং সংক্রান্ত সমস্ত সিদ্ধান্ত নেবেন নবনিযুক্ত কোচ অস্কার ব্রুজো। সবমিলিয়ে চূড়ান্ত ডামাডোলের মধ্যে ডার্বি খেলতে নামবে লাল-হলুদ শিবির। তার মধ্যে চিন্তা আরও বাড়াবে নন্দকুমার-ক্লেটনদের অফ ফর্ম। গত কয়েকম্যাচে প্রচুর গোলের সুযোগও নষ্ট করেছে ইস্টবেঙ্গল। তবে মাদিহ তালাল, আনোয়ার আলির মতো ফুটবলাররা যেকোনও সময়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। সল ক্রেসপোদের ডার্বি জয়ের উপর বাজি ধরছেন না প্রায় কেউই। খোলা মনে প্রত্যাশার চাপ ছাড়াই খেলতে নামবেন তাঁরা। সেটাও ডার্বিতে একটা অ্যাডভান্টেজ হতে পারে লাল-হলুদের জন্য।
ম্যাচের আগের দিনই মোহনবাগান কোচ জোসে মোলিনা বলেছিলেন, ডার্বিতে কেউই এগিয়ে থাকে না। পরিসংখ্যান, ফর্ম যাই হোক না কেন মাঠে বল গড়ানোর সময়ে সকলেই সমান। হাড্ডাহাড্ডি ডার্বি শেষে জয়ের হাসি ফুটবে কার মুখে? উত্তর মিলবে শনিবারের যুবভারতীতে।
(function(d, s, id){ var js, fjs=d.getElementsByTagName(s)[0]; if (d.getElementById(id)) return; js=d.createElement(s); js.id=id; js.src="https://connect.facebook.net/en_GB/sdk.js#xfbml=1&version=v3.0&appId=613665185492388&autoLogAppEvents=1"; fjs.parentNode.insertBefore(js, fjs); } (document, 'script', 'facebook-jssdk'));