দলীপ ট্রফির এ মরসুমের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ মনে পড়ে? অনন্তপুরে হয়েছিল খেলা। অন্ধ্রপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার এই মাঠকে ভারতের পার্থ বলা হয়। তার কারণ, এখানকার পেস ও বাউন্সি পিচ। পেসারদের স্বর্গ। পরিস্থিতির পাশাপাশি পরিসংখ্যানও তেমনই বলে। পেসাররাই এই পিচে সফল। সবুজ পিচ, গতি, সঙ্গে বাউন্স। সেই মাঠে দলীপের ম্যাচে এ মরসুমে খেলেছেন তরুণ পেসার হর্ষিত রানা। সব কিছু ঠিক থাকলে এ বার আসল পার্থে খেলার সুযোগ! কী ভাবে বোলিং করবেন? পরিকল্পনা তৈরি! অস্ট্রেলিয়া সফরের হোমওয়ার্ক নিয়ে হর্ষিত যা বলছেন।
প্রথম বার টেস্ট স্কোয়াডে সুযোগ। তাও আবার সরাসরি বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ। স্কোয়াডে অভিজ্ঞ পেসার বলতে জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ। তবে এই জুটির সঙ্গে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন হর্ষিত রানাও। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে তাঁর পারফরম্যান্স নজরকাড়াই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই ভারতীয় দলের সঙ্গে রয়েছেন। জিম্বাবোয়ে সফরে ডাক পেয়েছিলেন, এরপর শ্রীলঙ্কা সফরে টি-টোয়েন্টি, ওয়ান ডে দুই ফরম্যাটেই স্কোয়াডে ছিলেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডেও। তৃতীয় ম্যাচে তাঁর অভিষেকের সম্ভাবনাও ছিল। অসুস্থতার জন্য হয়নি।
ভারত-নিউজিল্যান্ড টেস্ট সিরিজে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখা হয়েছিল মায়াঙ্ককে। পরে রঞ্জি ট্রফিতে খেলার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। নেটে দীর্ঘদিন জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজদের সঙ্গে কাটানোর সুযোগ হয়েছে। রঞ্জিতে অসম ম্যাচের মাঝেই একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন হর্ষিত। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর সেই সাক্ষাৎকারে হর্ষিত বলেন, ‘সদ্য ভারতীয় দলের সঙ্গে ছিলাম। সারাক্ষণ জসপ্রীত ও সিরাজ ভাইকে নানা প্রশ্ন করে গিয়েছি। ওদের এটাও জিজ্ঞেস করেছিলাম, কোনওদিন যদি অস্ট্রেলিয়ায় খেলার সুযোগ পাই, কোন লাইন-লেন্থে বোলিং করা উচিত। কী করা উচিত, কোনটা এড়িয়ে যাওয়া। ওদের থেকে একটা পরিষ্কার ধারনা পেয়েছি।’
এই খবরটিও পড়ুন
হর্ষিত রানা যেন আগে থেকেই আভাস পেয়েছিলেন। দীর্ঘদিন দলের সঙ্গে রাখা হলেও তাঁকে সাদা বলের ক্রিকেটে খেলানো হয়নি। হয়তো অস্ট্রেলিয়া সফরে সুযোগ দেওয়া হবে বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর, মর্নি মর্কেলরা! পাঁচ ম্যাচের সিরিজের একটি টেস্ট রয়েছে পার্থেও।