মরসুমের প্রথম জয়ের খোঁজে বাংলা। নকআউটের আশা জিইয়ে রাখতে এই ম্যাচে জেতা ছেড়া বিকল্প নেই। পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচ শেষেই রঞ্জি ট্রফিতে বিরতি। এরপর শুরু হবে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। লাল-বলের ক্রিকেটে ব্রেকে যাওয়ার আগে ছয় পয়েন্ট খুবই জরুরি। কাজটা একেক সময় সহজ মনে হয়েছে, আবার কখনও কঠিন। মধ্যপ্রদেশ বনাম বাংলা ম্যাচের এখনও অবধি যা পরিস্থিতি, শেষ দিন রুদ্ধশ্বাস হতে চলেছে। বাংলার দেওয়া ৩৩৮ রান তাড়া করতে নেমে ৩ উইকেটে ১৫০ তুলে নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ। বাংলার চাই সামির সাথ ও আরও সাত উইকেট।
ম্যাচের প্রথম দিন পুরোপুরি ব্যাকফুটে ছিল বাংলা। প্রথম ইনিংসে মাত্র ২২৮ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া। প্রতিপক্ষর মাত্র ১ উইকেটে ১০৩ রান। প্রায় এক বছর পর প্রতিযোগিতা মূলক ক্রিকেটে ফিরে স্বস্তিতে দেখাচ্ছিল না দেশের সেরা পেসার মহম্মদ সামিকেও। দ্বিতীয় দিন থেকে ম্যাচের রং বদলাতে থাকে। সামির অনবদ্য বোলিংয়ে ম্যাচে ফেরে বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতেও ভরসা দিয়েছেন সামি। প্রথম ইনিংসের লিড মিলিয়ে মধ্যপ্রদেশকে ৩৩৮ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলা।
চতুর্থ ইনিংসে ৩৩৮ রান তোলা সহজ নয়। তবে মধ্যপ্রদেশ ব্যাটিং লাইন আপে ঘরোয়া ক্রিকেটের সেরা কয়েকজন ব্যাটার রয়েছেন। প্রতিপক্ষের দশ উইকেট নিতে যে ঘাম ছুটবে প্রত্যাশিত। হিমাংশু মন্ত্রীকে ফিরিয়ে মধ্যপ্রদেশের ওপেনিং জুটি ভাঙেন বাংলার তরুণ পেসার রোহিত কুমার। আর এক ওপেনার শুভ্রাংশু সেনাপতিকে ফেরান বাঁ হাতি স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ।
এই খবরটিও পড়ুন
শেষ বেলায় অনুভব আগরওয়ালের উইকেট নেন মহম্মদ সামি। যদিও তৃতীয় দিনের শেষে ক্রিজে রয়েছেন রজত পাতিদার (৩২) ও ক্যাপ্টেন শুভম শর্মা (১৮)। শেষ দিন মধ্যপ্রদেশের চাই আরও ১৮৮ রান। বাংলার প্রয়োজন ৭ উইকেট। এর জন্য দিনের প্রথম সেশনে সামির বিধ্বংসী বোলিং প্রয়োজন। বাংলা শিবির তারই প্রত্যাশায়।