হাতে মাত্র ৪৫ কোটি, মেগা নিলামে কোন স্ট্র্যাটেজিতে এগোবে ‘গরিব’ হায়দরাবাদ?


আইপিএলের মেগা নিলামে বাকি হাতে গোনা কয়েকটা দিন। সেরা দল তৈরি করতে নিজেদের মতো পরিকল্পনা সাজাচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। জল্পনা রয়েছে ক্রিকেট মহলেও। মেগা নিলামে কী হতে চলেছে কোন দলের স্ট্র্যাটেজি, বিশ্লেষণে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। আজ নজরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।

গত মরশুমে একের পর এক নজির গড়েছিল অরেঞ্জ আর্মি। গোটা ইনিংসজুড়ে মারকুটে ব্যাটিং করে এক মরশুমে তিনবার আইপিএলে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান করার নজির গড়েছিলেন প্যাট কামিন্সরা। ঝোড়ো পারফরম্যান্স করে ফাইনালেও ওঠে হায়দরাবাদ। কিন্ত ফাইনালে কেকেআরের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় কাব্য মারানদের। ২০১৬ সালের পর থেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন অধরাই অরেঞ্জ আর্মির কাছে। 

রিটেনশন তালিকা:
হেনরিক ক্লাসেন ২৩ কোটি
প্যাট কামিন্স ১৮ কোটি
ট্র্যাভিস হেড ১৪ কোটি
অভিষেক শর্মা ১৪ কোটি
নীতীশ রেড্ডি ৬ কোটি

পার্স: সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হাতে আছে ৪৫ কোটি টাকা।

আরটিএম: তাদের হাতে আরটিএম বেঁচে একটি। যা ব্যবহার করা যাবে আনক‌্যাপড প্লেয়ারের ক্ষেত্রে।

প্রয়োজন:

মিডল এবং ডেথে ব্যাটার দরকার হায়দরাবাদের। এছাড়াও দেশি-বিদেশি স্পিনার প্রয়োজন কামিন্সদের। গত মরশুমে স্পিনারের অভাবে ভালোরকম সমস্যায় পড়তে হয়েছিল হায়দরাবাদকে। তাছাড়াও কামিন্স ছাড়া কোনও পেসার নেই দলে। দেশীয় পেসার নেওয়ার দিকে ঝুঁকতে পারে হায়দরাবাদ ম্যানেজেমেন্ট।

লক্ষ্য কারা?

চারজন বিদেশিকে রিটেন করে ফেলেছে হায়দরাবাদ, এবং প্রত্যেক ম্যাচেই চারজনের খেলা কার্যত নিশ্চিত তাই মিডল অর্ডারে ভারতীয় ব্যাটার দরকার তাদের। সেখানেই মিডল অর্ডারে ব্যাটিংয়ের জন্য ভেঙ্কটেশ আইয়ার, সরফরাজ খান বা অঙ্গকৃশ রঘুবংশীর মতো ব্যাটারকে কিনতে পারে হায়দরাবাদ। যেহেতু হায়দরাবাদের হাতে পার্স খুবই কম, তাই বড় তারকাদের জন্য দর কষাকষিতে পিছিয়ে পড়তে পারে ম্যানেজমেন্ট। ডেথ ওভারে ক্লাসেনের পাশাপাশি আরও একজন মারকুটে ফিনিশার হিসাবে নেওয়া যেতে পারে সমীর রিজভি বা আবদুল সামাদের মতো কাউকে। সামাদের জন্য আরটিএম কার্ডও ব্যবহার করতে পারে হায়দরাবাদ। মেগা অকশন থেকে একাধিক স্পিনার কিনতে হবে ম্যানেজমেন্টকে। সেক্ষেত্রে যুজবেন্দ্র চাহালকে টার্গেট করা যেতে পারে। গত মরশুমে হায়দরাবাদের হয়ে খেলা শাহবাজ আহমেদ বা ওয়াশিংটন সুন্দরকে কিনতে পারেন কাব্য মারানরা। এই দুই স্পিনারই ভালো ব্যাট করতে পারেন। এছাড়াও রাচীন রবীন্দ্রকে কেনার দিকে যেতে পারে হায়দরাবাদ ম্যানেজমেন্ট। যেহেতু হায়দরাবাদের হাতে পার্স খুবই কম, তাই বিদেশি পেসারদের টার্গেট করা হবে না। সেক্ষেত্রে যশ ধুল, আভেশ খান, যশ ঠাকুরের মতো তরুণ ভারতীয় পেসারদের কিনতে পারে হায়দরাবাদ। তবে হায়দরাবাদের সমস্যা তাদের পার্স। রিটেনশনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি টাকা দিয়ে ক্লাসেনকে রিটেন করার পাশাপাশি অন্য ক্রিকেটারদের ধরে রাখতেই বিরাট অঙ্কের টাকা খসেছে হায়দরাবাদের পার্স থেকে। তার জেরেই নিলামের দৌড়ে অন্যদের থেকে অনেকখানি পিছিয়ে পড়তে পারে হায়দরাবাদ। 

Leave a Reply